শুক্রবার, ১৬ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভাইরাল সান্ডার মাংস খাওয়া হালাল, না অনুচিত, যা বলছে ইসলাম *** দুটি ইলিশের দাম সাড়ে ১৪ হাজার টাকা! *** জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে, আশা পরিকল্পনা উপদেষ্টার *** উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর বোতল নিক্ষেপ: একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি *** হঠাৎ ফেসবুকে 'সান্ডা' নিয়ে যে কারণে এত হৈচৈ *** ‘চিকেনস নেক’ এলাকায় ভারতের সামরিক মহড়ার লক্ষ্য কী বাংলাদেশ *** মালয়েশিয়াগামী ৮ হাজার শ্রমিকের তালিকা চূড়ান্ত *** উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর বোতল নিক্ষেপকারী শনাক্ত *** সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ চিকিৎসার জন্য বিদেশে, ছেলের পোস্ট *** অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম: প্রেস সচিব

‘চিকেনস নেক’ এলাকায় ভারতের সামরিক মহড়ার লক্ষ্য কী বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, ১৬ই মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদীর অববাহিকায় ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ’ হিসেবে সম্প্রতি ভারতের সামরিক বাহিনী পূর্ণাঙ্গ সামরিক মহড়া দেখিয়েছে। গত সপ্তাহে তিনদিন ধরে (৮ই থেকে ১০ই মে) তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ‘তিস্তা প্রহার’ নামে এই মহড়া হয়। খবর বিবিসির।

মহড়ার জায়গাটি ভারতের ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডরের খুব কাছে। উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাকি দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করা মাত্র ১৭ কিলোমিটার চওড়া সরু অংশটিকে 'চিকেনস নেক' বলা হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গুয়াহাটিতে বৃহস্পতিবার (১৫ই মে) এক অনুষ্ঠানে বলেন, তিস্তা প্রহার মহড়ায় নদীবিধৌত অঞ্চলের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বাহিনীর ‘যৌথ কম্ব্যাট স্ট্র্যাটেজি’ ও (যুদ্ধের) প্রস্তুতি দেখানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি দাবি করেন, এ মহড়ায় আরও একবার ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাকটিক্যাল ড্রিল ও খুব দ্রুত অভিযান চালানোর ক্ষমতা দেখিয়েছে, যা তাদের উৎকর্ষ ও আধুনিকায়নের প্রমাণ।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘তিস্তা প্রহার’ ঘিরে যেসব ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এ মহড়ায় আর্টিলারি ট্যাংক, হেলিকপ্টার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

দিল্লিতে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বিবিসিকে বলে, এ মহড়াকে ঠিক ‘রুটিন এক্সারসাইজ’ বলা যাবে না। কারণ, তিস্তার অববাহিকায় এ মাপের সামরিক মহড়া সাম্প্রতিককালের মধ্যে কখনোই হয়নি।

লন্ডনভিত্তিক ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেব সরকার মনে করছেন, এ সামরিক মহড়ার মধ্যে দিয়ে ওই অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভারত একটা বার্তা দিতে চেয়েছে।

বিবিসিকে প্রিয়জিৎ বলেন, এর মধ্যে একটা সূক্ষ্ণ প্ররোচনার উপাদানও হয়তো আছে, যেটা অবশ্যই বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে খুশি করবে না।

এইচ.এস/

ভারত

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন