সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি *** ইরানে আমেরিকার হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ *** ইরানে হামলার উদ্দেশ্য শাসক পরিবর্তন নয়: আমেরিকা *** ইরানে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ *** হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব পাস ইরানের পার্লামেন্টে *** সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে পুলিশে সোপর্দ *** অনেক দেশ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, দাবি পুতিনের শীর্ষ সহযোগীর *** ইরানে আমেরিকার হামলা কয়েকমাসের ‘গোপন প্রস্তুতির’ ফল: প্রতিরক্ষামন্ত্রী *** আমেরিকার হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান *** রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হক জামিনে মুক্ত

ফলকার টুর্কের মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, ১০ই মার্চ ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

প্রতিক্রিয়াটি সোমবার (১০ই মার্চ) জাতীয় গণমাধ্যমের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘হার্ডটকে’ গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের মন্তব্য নিয়ে একটি সংবাদ প্রচার করা হয়।

সেনাবাহিনী জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবাধিকারের তাৎপর্য যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে। যে কোনো গঠনমূলক সমালোচনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। তবে অধিকতর সঠিকতা ও স্বচ্ছতার উদ্দেশ্যে উক্ত মন্তব্যের কিছু বিষয়ে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন বলে মনে করে।

এখানে উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার থেকে এ বিষয়ক কোনো ইঙ্গিত কিংবা বার্তা সম্পর্কে অবগত নয়। যদি এ সংক্রান্ত কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তবে তা তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়ে থাকতে পারে, সেনাবাহিনীকে নয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করে এবং সর্বদা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে ফলকার টুর্কের মন্তব্য কিছু মহলের মাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি এবং এর পেশাদারত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

নিরপেক্ষতা ও সততার মহান ঐতিহ্য ধারণ করে সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অতীতের ঘটনাপ্রবাহ, বিশেষত ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রমাণ করে যে, সেনাবাহিনী কখনো জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময়ও সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং কোনো পক্ষপাত বা বাহ্যিক প্রভাব ছাড়াই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে, পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। 

এখানে উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্জিত আয়ের একটি ক্ষুদ্র অংশ শান্তিরক্ষীরা পেয়ে থাকেন এবং এর সিংহভাগ জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, যার পরিমাণ গত ২৩ বছরে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা।

সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ককে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করে এবং দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব পালনে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। সেনাবাহিনীর ভূমিকা–সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে উদ্বেগ অথবা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে তা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে ফলপ্রসূভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে সেনাবাহিনী মনে করে।

এইচ.এস/

আইএসপিআর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন