গত ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
চলতি জুলাই মাসের ৯ তারিখ আমেরিকা-ভারত বাণিজ্য চুক্তির শেষ সময়সীমা। তবে শেষ সময় ঘনিয়ে এলেও ভারত ও আমেরিকার মধ্যকার প্রত্যাশিত বাণিজ্য চুক্তি এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়ে গেছে। উভয় দেশই আলোচনার টেবিলে অবস্থান ধরে রেখেছে, ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে দর-কষাকষি। খবর এএফপির।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট চুক্তিটি ‘ঘনিয়ে আসছে’ বলে ইঙ্গিত দিলেও ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি এক বক্তব্যে জানান, দিল্লি ‘বড়, ভালো ও সুন্দর’ (বিগ, গুড, বিউটিফুল) চুক্তিকে স্বাগত জানাবে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, একটি দুর্দান্ত বাণিজ্য চুক্তি আসছে, যা ভারতের বাজার উন্মুক্ত করে দেবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে বেশ কয়েকটি প্রধান অচলাবস্থা রয়ে গেছে, বিশেষ করে—কৃষিপণ্য, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও ভারতীয় স্টিলের ওপর আমেরিকার শুল্ক ইস্যুতে।
ভারতের কৃষি খাত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার আগ্রহ থাকলেও দিল্লি তা কঠোরভাবে রক্ষা করে এসেছে। আমেরিকা চাইছে, ভারত তাদের ভুট্টা, সয়াবিন, তুলা ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্মুক্ত করুক। কিন্তু বিশাল গ্রামীণ জনসংখ্যা ও খাদ্যনিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারত কৃষি খাতের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ও সরকারি ক্রয়ের মতো ব্যবস্থাগুলো ধরে রাখতে চায়।
ভারতের সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আমেরিকা যদি বলে, কৃষি খাত না খুললে কোনো চুক্তিই হবে না, তাহলে তারা রাজনৈতিক বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।’
আমেরিকা ভারতের নতুন ‘গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ আদেশ’ (কিউসিও) নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭০০টিরও বেশি কিউসিও জারি করেছে ভারত, যা বিদেশি পণ্যের প্রবেশে বাধা তৈরি করছে বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের।
খবরটি শেয়ার করুন