ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে অন্তত দেড় লাখ ইসরায়েলি। শনিবার (২২শে জুন) তেল আবিবে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির সদর দফতরের বাইরে জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন বিক্ষোভকারীরা।
এসময় তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি, গাজায় জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা ও আগাম নির্বাচনের দাবি জানায়। লিকুদ পার্টির সদর দফতরের কাছে রাস্তা অবরোধ করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার সময় ইসরায়েলি পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে রাস্তা অবরোধ ও পথচারীদের বিপন্ন করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
এসময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল "অপরাধমন্ত্রী" ও "যুদ্ধ বন্ধ করুন" লেখা প্ল্যাকার্ড। তারা সরকার ও নেতানিয়াহু বিরোধী স্লোগানও দিচ্ছিলো।
আরো পড়ুন: প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিলো ইউরোপের আরেক দেশ
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর আট মাস পেরিয়ে গেছে। এর পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের শহরগুলোতে বিক্ষোভ হয়ে আসছে।
শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেন ৬৬ বছর বয়সী এক ঠিকাদার সাই এরেল। তিনি বলেন, ‘আমি আমার নাতি–নাতনির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এখন আমরা যদি ভয়ংকর এই সরকারের কবল থেকে পরিত্রাণ না পাই, তাহলে শিশুদের কোনও ভবিষ্যৎ থাকবে না।’
ইসরায়েলি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ জানিয়ে এরেল বলেন, ‘নেসেটে (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) সব ইঁদুর বসে আছে। আমি তাদের মধ্যে কাউকে কিন্ডারগার্টেনের পাহারাদার হতে দিতে পারি না।’
সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী সংগঠন ‘হোফশি ইসরায়েল’বলছে, শনিবারের বিক্ষোভে দেড় লাখের বেশি মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এটা ইসরায়েলে হওয়া বড় বিক্ষোভগুলোর একটি।
সূত্র: আল জাজিরা
এইচআ/
খবরটি শেয়ার করুন