শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট *** ফার্মেসির পরামর্শে ডায়রিয়াতেও শিশুকে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক: গবেষণা *** সরকারি জমিতে অবৈধ রেস্টুরেন্ট-মার্কেট, উচ্ছেদের দাবি স্থানীয়দের *** ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে বাধা দেখছেন না নজরুল ইসলাম খান

এক বছরে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২৭শে জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে দেশের ১৬৮টি চা-বাগান থেকে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপন্ন হয়। যা বাংলাদেশে চা চাষের ১৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন। এর মধ্যে সিলেটেই রয়েছে ১৩৬টি চা-বাগান।

দেশে চায়ের উৎপাদন শুরু হয় ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনি ছাড়া চা-বাগান থেকে। রেকর্ড ভঙ্গ করে চা উৎপাদনে সংশ্লিষ্টরা মহাখুশি। তারা মনে করেন এখন চা রপ্তানি জোরদার করা দরকার।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সব মিলিয়েই এই ইতিবাচক ফল পাওয়ার পেছনে রয়েছে সুষম আবহাওয়া, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ, পুরোনো গাছ সরিয়ে নতুন চারা রোপণ।

বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান তানভীরুল রহমান উৎপাদনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘উৎপাদনের পাশাপাশি উৎপাদকরা যাতে চায়ের ভালো দাম পান সেটাও মাথায় রাখতে হবে।’ তবে চা-বাগান মালিকরা মনে করেন, সিন্ডিকেটের কারণে তারা ইপ্সিত মূল্য পাচ্ছেন না।

বাজারে যদিও চায়ের কেজি ২০০-৩০০ টাকা। কিন্তু তারা সর্বোচ্চ ১৮৫ টাকায় বিক্রি করেন। তারা বলেন, এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে চা উৎপাদনের ভবিষ্যৎ আশঙ্কাজনক। একটি সূত্র জানায়, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কোনো কোনো বাগানমালিকদের অন্যরকম ‘সখ্য’ রয়েছে। তাই সিন্ডিকেট শক্তিশালী। অবশ্য এই বিষয়ে সরকারও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যে সব বাগান লোকসান গুনবে সে সব বাগান ব্যাংক লোনসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধার বাইরে থাকবে। 

অন্যদিকে চা-বোর্ড সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এবারই প্রথম লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফলতা এসেছে। ২০২৩ সালে দেশের বাগানগুলো থেকে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ৯ লাখ কেজি বেশি চা উৎপাদন হয়েছে। 

২০২১ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়। ২০২২ সালে ১০ কোটি কেজি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও উৎপাদন হয় ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার কেজি।

আরো পড়ুন: পটুয়াখালীতে শসা চাষে ঘুরছে কৃষকের ভাগ্যের চাকা

বাংলাদেশ চা-বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম  বলেছেন, সবার সমন্বিত চেষ্টার ফলে এবার সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে বাগানমালিক, শ্রমিক, চা-বোর্ডের কর্মকর্তাদের জন্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, বাগানগুলোতে পুরোনো চা-গাছ সরিয়ে নতুন গাছ লাগানোয় নজর দেওয়া হয়েছে। 

বাজারে অবৈধ পথে আসা চা যাতে ঢুকতে না পারে, বাগানমালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থও যাতে সুরক্ষিত হয়, সে সব দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সমতলে চা চাষে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে চারা ও মেশিনারিজ বিতরণ করা হয়েছে। ফলে উত্তরাঞ্চল ও সমতলেও চা চাষের পরিমাণ বেড়েছে।

এসি/ আই.কে.জে/


রেকর্ড চা উৎপাদন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন