ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে টানা ছয় দিন ধরে চলছে যুদ্ধ। চলমান এ পরিস্থিতিতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অঙ্গীকার করেছেন, তিনি ইসরায়েলি শাসকদের কোনো ছাড় দেবেন না। খবর এএফপির।
আজ বুধবার (১৮ই জুন) সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই (ইসরায়েলের) সন্ত্রাসী ও জায়নবাদি শাসকদের কড়া জবাব দিতে হবে। আমরা জায়নবাদিদের কোনো ছাড় দেব না।’
গত সপ্তাহে ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনা। এতে রাজধানী তেহরানসহ একাধিক আবাসিক এলাকাও আক্রান্ত হয়।
এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। আজ বুধবার দেশটি ইসরায়েল অভিমুখে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথাও জানিয়েছে। এ বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি দাবি করেন, আজকে থেকেই প্রকৃত অর্থে যুদ্ধ শুরু করেছে তার দেশ।
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি বাহরেইনি বলেছেন, ‘দেশের জনগণ, নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা রক্ষায় আমরা কোনো ধরনের অনীহা প্রকাশ করব না। আমরা গুরুতর আকারে ও কোনো বাছবিচার ছাড়াই ইসরায়েলি হামলার ‘কড়া’ জবাব দেব।’
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ই জুন) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,আমেরিকার ধৈর্য কমে আসছে, তবে আপাতত ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যার কোনো উদ্দেশ্য তাদের নেই। ইরানের প্রতি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান তিনি।
ট্রাম্প প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বলেন, ‘খামেনি আপাতত নিরাপদ আছেন। তিনি (খামেনি) সহজ লক্ষ্যবস্তু, তবে সেখানে নিরাপদ আছেন। আমরা তাকে অপসারণ (হত্যা!) করব না। অন্তত এখনই না।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখে এ কথা বললেও থেমে নেই আমেরিকার সামরিক তৎপরতা।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা এবং বিশেষজ্ঞদের বরাতে বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে, গত তিন দিনে ৩০টির বেশি আমেরিকান সামরিক বিমান ওই দেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে পাঠানো হয়েছে একটি আমেরিকান বিমানবাহী রণতরী। বিশেষজ্ঞরা একে আসন্ন কোনো বড় সংঘাতের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।
এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহতের কাজে ব্যবহৃত অ্যারো মিসাইলের মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে, ইরান থেকে ধেয়ে আসা দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর সক্ষমতাও কমে আসতে পারে ইসরায়েলের।
আরএইচ/
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
খবরটি শেয়ার করুন