ছবি: সংগৃহীত
তরুণ সাহিত্যিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে বিশিষ্ট লেখক, চিন্তক, শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বাংলা ভাষার সাহিত্যের মান কমে যাচ্ছে। ভাষা বিকৃত করা হচ্ছে। ভাষার মানও কমে যাচ্ছে। তরুণ সাহিত্যিকদের ভাষা ও সাহিত্যের মান উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (২৬শে জুলাই) সন্ধ্যায় সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলম আয়োজিত তরুণ সাহিত্যিকদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
সিটি ব্যাংক নিবেদিত ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০২৪’ বিতরণী অনুষ্ঠানে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় পাঁচ তরুণ কবি ও লেখককে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজধানীর ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলি ও কলম পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
বক্তব্য দেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কথাশিল্পী মাসরুর আরেফিন। সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলম–এর প্রকাশক আবুল খায়ের। সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এবার পুরস্কার পেয়েছেন সতীতালয় কাব্যগ্রন্থের জন্য অস্ট্রিক ঋষি, কথাসাহিত্যে নির্বাচিত দেবদূত গল্পগ্রন্থের জন্য সাজিদ উল হক আবির, প্রবন্ধ ও গবেষণায় শতবর্ষে চা-শ্রমিক আন্দোলন: ডেডলাইন ২০ মে ১৯২১ গ্রন্থের জন্য মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, মুক্তিযুদ্ধ ও বিপ্লব বিষয়ে একাত্তরের অবরুদ্ধ দিনের দুঃসাহস: সাগাই ফোর্ট এস্কেপ গ্রন্থের জন্য স্বরলিপি এবং শিশু-কিশোর সাহিত্যে তিলকুমারের যাত্রা গ্রন্থের জন্য নিয়াজ মাহমুদ। অতিথিরা তাদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট, সনদ ও অর্থমূল্যের চেক তুলে দেন।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, একদিকে পুঁজিবাদের শোষণ ও অন্যদিকে প্রযুক্তির উৎকর্ষের ধারাবাহিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে মানবতা ও সৃজনশীলতা আজ বিপন্ন। সাহিত্য হলো সামাজিক সম্পদ। এই পরিস্থিতি থেকে সাহিত্যই মানবিকতা ও সৃজনশীলতাকে রক্ষা করতে পারে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন