শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তেহরান থেকে রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নেবে ইরান, নেপথ্যে পানি *** গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের *** ৪৭ দেশের ৪৪৩ স্বেচ্ছাসেবীকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল *** মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরলেন দুর্গতিনাশিনী *** শহিদুল আলমের জাহাজ এখনো আটক হয়নি, দিলেন ভিডিওবার্তা *** পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু *** এনসিপিকে শাপলা দিলে মামলা করব না, তবে ইসি দিতে পারে না: মান্না *** শুধু থালাবাটি নয়, এনসিপির জন্য আছে লাউ-বেগুন-কলাসহ ৫০ প্রতীক *** ঝড় উপেক্ষা করে গাজার পথে ফ্লোটিলা, শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা *** ইসরায়েলি সব কূটনীতিককে কলম্বিয়া থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পেত্রোর

মঙ্গল কামনায় শুরু মঙ্গল শোভাযাত্রা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, ১৪ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি (সংগৃহীত)

শুরু হলো ১৪৩১ সনের বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা। রোববার (১৪ই এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বের হয়।

শোভাযাত্রাটি ঢাকা ক্লাব ও শিশুপার্কের সামনে হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গিয়ে শেষ হবে। বিকেল পাঁচটায় নববর্ষের কার্যক্রম শেষ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’।কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার।

আরো পড়ুন:রমনার বটমূলে সুরের মুর্ছনায় বর্ষবরণ

জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এযাবৎ মঙ্গল শোভাযাত্রায় যত প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি, তা সবই বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকদের লেখা থেকে নেওয়া। তবে এবার খেয়াল করলাম যে আমাদের সাহিত্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কবি জীবনানন্দের কোনো পঙক্তি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি। তাই এবার কবির ‘তিমির হননের গান’ কবিতার একটি লাইন আমরা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি। এটি তরুণ প্রজন্মের মুখে উচ্চারিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমরা তো তিমির বিনাশী’।

শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা বর্ষবরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম।

গত তিন দশক ধরে প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখে চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হচ্ছে। ২০১৬ সালে ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় এই শোভাযাত্রা।

এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো রয়েছে পুরো এলাকা।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া ভিন্ন দেশের নাগরিকদেরও দেখা গেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা অংশ নিতে।

১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল শোভাযাত্রা। তখন এটি ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিত ছিল। চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রায় থাকে বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা। পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়।এরপর চারুকলার এই আনন্দ শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নাম পায়।

এইচআ/ 

ঢাবি পহেলা বৈশাখ মঙ্গল শোভাযাত্রা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250