ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় চলছে খাবারের জন্য হাহাকার। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার মধ্যেও উপত্যকাটির বাসিন্দাদের একমুঠো খাবারের জন্য ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। গাজার মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের প্রায় এক ভাগ দিনের পর দিন না খেয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে চিঠি দিয়েছেন দেশটির ২২১ জন আইনপ্রণেতা।
গাজায় অনাহারে থাকা মানুষদের নিয়ে গতকাল শনিবার (২৬শে জুলাই) বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। তাতে উপত্যকাটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষের অনাহারে থাকার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। উপত্যকাটিতে অপুষ্টিতে ভোগা ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন।
গাজায় অনাহারে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। উপত্যকাটির আল-শিফা হাসপাতালের শনিবার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুটি শিশু। একজনের বয়স মাত্র সাতদিন। এ নিয়ে ২১ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলার সময় অনাহারে ১২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হলো। তাদের মধ্যে শিশু ৮০ জনের বেশি।
গাজায় চরম নৃশংসতার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ওপরও চাপ বাড়ছে। গত শুক্রবার এই স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে দেশটির ২২১ জন আইনপ্রণেতা একটি চিঠি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন