মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** একাত্তর নিয়ে বক্তব্য, সমালোচনার মুখে আসিফ নজরুলের দুঃখ প্রকাশ *** জুলাই সনদের খসড়ার সঙ্গে ‘মোটামুটি’ একমত বিএনপি *** বিনা অনুমতিতে নূরুল কবীরকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে, প্রত্যাহারের অনুরোধ *** জনসংখ্যা বাড়াতে প্রত্যেক শিশুকে বছরে ৬২ হাজার টাকা করে দেবে চীন *** প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হলেন মাহফুজ আনাম, নূরুল কবীরসহ ১২ জন *** ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীকে নেদারল্যান্ডসে ঢুকতে দেবে না দেশটির সরকার *** ডাকসু নির্বাচন ৯ই সেপ্টেম্বর *** আর কাউকে প্রতীকী মূল্যে জমি দেবে না সরকার: অর্থ উপদেষ্টা *** প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার শুন্য পদ পূরণে উদ্যোগ *** প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ

মহানবী সা. যে দুই কাজকে সবথেকে উত্তম বলেছেন

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২৭ অপরাহ্ন, ২৬শে জুলাই ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে মানুষকে উত্তম কাজের শিক্ষা দিয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যাতে উত্তম কাজ ও গুণগুলোর মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আশপাশের লোকজনের কাছে সেরা প্রমাণ করতে পারেন। অন্যের কাছে অনন্য গুণের অধিকারী হতে পারেন।

এমন একাধিক উত্তম কাজ ও গুণের বর্ণনা রয়েছে হাদিসে। এখানে এমন দুটি উত্তম কাজের আলোচনা তুলে ধরা হলো। যা মানুষ চাইলে প্রতিনিয়ত করতে পারেন। এর মধ্যে একটি গুণ ও কাজ মানুষ নিজের অজান্তেই প্রতিনিয়ত করে থাকেন। গুণটি হলো, অন্যকে সালাম দেওয়া।  

চলাফেরা-উঠাবাসার ক্ষেত্রে মুসলমানরা প্রতিনিয়ত একে-অপরকে সালাম দিয়ে থাকেন। এই সালাম বিনিময়কে ইসলামের সবথেকে উত্তম কাজ বলে অভিহিত করেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে— এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা.-কে প্রশ্ন করলেন, ইসলামে কোন কাজ সবচেয়ে ভালো? রাসূল সা. বললেন, ‘অন্যকে আহার দেওয়া ও পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১২)

আরো পড়ুন : হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৮ হাজার হাজি

সালাম সম্পর্কে আরেক হাদিসে রাসূল সা.—

‘তোমরা ইমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর ইমানদার হতে পারবে না পরস্পরে ভালোবাসা তৈরি না হলে। আমি কি তোমাদের এমন একটি বিষয়ের কথা বলব, যা তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করবে? তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৫৪)

ইসলামে সালামের গুরুত্ব অপরিসীম। সালাম শান্তির প্রতীক। সালাম এভাবে দিতে হয়— ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।’ 

আর কেউ সালাম দিলে সঙ্গে সঙ্গে উত্তরে বলতে হয়, ওয়ালাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া-বারাকাতুহ।

অন্যের সালামের আশায় থাকা উচিত নয়। নিজে আগে সালাম দেওয়া সুন্নত। কেউ সালাম দিলে তার জবাব দেওয়া ওয়াজিব। সালামের জবাব দেওয়ার সময় সালামের চেয়ে বাড়িয়ে জবাব দেওয়া সুন্নত। 

তাই কেউ ‘আস্সালামু আলাইকুম’ বললে জবাবে ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলবে। কেউ ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বললে জবাবে ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’ বলবে।

সালামের প্রতিটি বাক্যে ১০টি নেকি পাওয়া যায়। সালামে মোট তিনটি বাক্য আছে। সুতরাং যে পূর্ণ সালাম দেবে, তার ৩০টি নেকি অর্জন হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৮৯)

এস/ আই.কে.জে/

হাদিস মহানবী সা.

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন