বুধবার, ২২শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সালমান শাহর মৃত্যুর আগের দিন স্ত্রী সামিরার সঙ্গে কী ঘটেছিল *** অক্টোবরের ২০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৮ কোটি ডলার *** কাতারে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা না দেওয়ার প্রচারণা প্রসঙ্গে যা বলছে মন্ত্রণালয় *** ‘দলীয়’ উপদেষ্টাদের বিষয়ে ড. ইউনূসের কাছে যে দাবি জানিয়েছে বিএনপি *** ‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’ *** নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা *** ভারতীয় ঋণচুক্তির ১০ প্রকল্প বাতিলের তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** সালমান শাহ, সোহেল চৌধুরী হত্যা: কে এই আজিজ মোহাম্মদ ভাই *** সোনারগাঁও হোটেলে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে কেন চড় মেরেছিলেন সালমান *** যে প্রার্থীদের ভোট দিতে বললেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মুক্তিপণ পেতে ডাকাতির সময় শিশুটিকে অপহরণ করা হয় : র‌্যাব

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:২৭ অপরাহ্ন, ১৬ই নভেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে রাজধানীর আজিমপুরে বাসা থেকে ডাকাতির সময় আট মাস বয়সী শিশু আরিসা জান্নাত জাইফাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মধ্য রাতে মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মূল অপহরণকারী ফাতেমা আক্তার শাপলাকে (২৭) গ্রেফতার করে র‌্যাব।

শনিবার (১৬ই নভেম্বর) দুপুরে কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, শুক্রবার মধ্য রাতে শিশু জাইফাকে উদ্ধারের সময় মূল অপহরণকারী ফাতেমা আক্তার শাপলাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি ও শিশু অপহরণের ঘটনায় শাপলার সঙ্গে সুমন, রায়হান ও হাসান নামে আরও তিন সহযোগী ছিল। তাদের টার্গেট ছিল শিশু জাইফার বিনিময়ে তার মার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করা। তবে ঘটনার পর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হলে তারা আত্মগোপনে থাকে।

র‌্যাব জানায়, শিশুটির মা ফারজানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত। বাবা আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের ল্যাব সহকারী। প্রতারক শাপলা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শিশুটির মা ফারজানাকে টার্গেট করে। তিনি বাসে করে অফিসে যাতায়াতকালে শাপলা নানা কৌশলে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে শাপলা অসহায়ত্বের কথা বলে শিশুর মায়ের সঙ্গে সাবলেটে একই বাড়িতে থাকার পরিকল্পনাও করে। এক সপ্তাহ আগে ফারজানার বাসায় আসে শাপলা। পরে বৃহস্পতিবার (১৪ই নভেম্বর) রাতে আজিমপুরে ফারজানার বাড়িতে একটি রুম সাবলেটে ভাড়ায় ওঠে। ওইদিন রাতে কৌশলে ভুক্তভোগীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরদিন (শুক্রবার) সকালে শাপলার আরও তিন জন সহযোগী ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, প্রায় সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়। এরপর শিশুটিকে অপহরণ করে নবীনগর হাউজিং এলাকায় নিয়ে যায়।

এক প্রশ্নের উত্তরে লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, শিশু অপহরণের ঘটনায় তার বাবা আবু জাফরকে নজরদারিতে রেখেছে র‌্যাব। শিশুর বাবা-মার মধ্যে সাংসারিক মনমালিন্য ছিল। তাই তারা আলাদা থাকতেন। তবে শিশুর বাবার আজিমপুরের বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল। দিনে শিশুর সঙ্গে থেকে রাতে তিনি অন্যত্র চলে যেতেন। এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনও সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

র‌্যাব জানায়, অপহরণকারী শাপলার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। সে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লালমাটিয়া মহিলা কলেজে পড়াশোনা করলেও তা শেষ করেনি। মা-বোনের সঙ্গে আদাবর নবীনগর হাউজিংয়ে থাকতো।

ওআ/কেবি

র‌্যাব

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250