রবিবার, ১৫ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিশ্ব বাবা দিবস আজ *** ইরানের প্রেসিডেন্টকে পরমাণু আলোচনায় বসার আহ্বান মাখোঁর *** 'জরুরি সহায়তা' হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে ব্রিটেন *** ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপে উঠে এল যেসব বিষয় *** হাতিরঝিলের পানি পরিশোধনের কাজ জোরদার হচ্ছে *** ছুটি শেষে রোববার থেকে চালু ব্যাংক ও পুঁজিবাজার *** আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩শে জুন, অনুমোদন হতে পারে দুই কিস্তির অর্থ *** ইরানের ভেতরে ঘাঁটি গেড়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা নিষ্ক্রিয় করে মোসাদ *** ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন জামায়াতের আমিরের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ: সালাহউদ্দিন *** টানা ১০ দিন ছুটি শেষে অফিস খুলছে কাল

ট্রাম্পের ইউটার্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪০ অপরাহ্ন, ১৪ই জুন ২০২৫

#

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের ইরান হামলা নিয়ে তার অবস্থানে নাটকীয় পরিবর্তন এনেছেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও তিনি এ ধরনের সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে বলেছিলেন, এটি ইরানের সঙ্গে আমেরিকার চলমান পরমাণু আলোচনাকে ভেস্তে দেবে। কিন্তু হামলার পরপরই তিনি সুর পাল্টে এ হামলাকে ‘চমৎকার’ বলে অভিহিত করেছেন। এর জন্য ইরানকেই দায়ী করেছেন তিনি।

হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইসরায়েল এমন পদক্ষেপ নিক, সেটি তিনি চান না। কারণ এটি আমেরিকার সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনাকে ভেস্তে দেবে। কিন্তু হামলার পরপরই ট্রাম্প অবস্থান পরিবর্তন করে বলেন, এ হামলাগুলো তার ভাষায়, ‘চমৎকার’। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

এরপর ট্রাম্প ইসরায়েলের এ হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করে বলেন, এটি ঘটেছে, কারণ ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার জন্য আমেরিকার প্রস্তাবিত চুক্তি মেনে নেয়নি।

ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে আরও ‘নৃশংস’ হামলা হবে এবং ইরানের জন্য এখন চুক্তিতে আসার সময় হয়েছে।

ট্রাম্প দুটি পরস্পরবিরোধী অবস্থান দেখাচ্ছেন। অবশ্য রিপাবলিকান পার্টির বিভিন্ন অংশের মধ্যেও এ বিষয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। এমন অনেকে আছেন, যারা চান ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণে দেওয়া প্রতিশ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী কূটনৈতিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবির্ভূত হোন। অন্যদিকে কতিপয় যুদ্ধবাজের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, আমেরিকা সরাসরি ইরানে বোমাবর্ষণে জড়িয়ে যাক। ট্রাম্প নিজেও এ ধরনের হুমকি দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, তিনি ও তার প্রশাসন হামলার বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সবকিছু জানতাম এবং আমি ইরানকে অপমান ও মৃত্যু থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি অনেক চেষ্টা করেছি, কারণ আমি একটি চুক্তি সম্পন্ন হওয়া দেখতে চেয়েছিলাম।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘সবকিছু হারানোর আগে ইরানকে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানাই। একসময় পারস্য সাম্রাজ্য নামে পরিচিত দেশটিকে রক্ষা করতে হবে। আর মৃত্যু নয়, আর ধ্বংস নয়, শুধু চুক্তিটা করতে হবে, খুব দেরি হওয়ার আগেই।’

যদিও আমেরিকা এ হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল আমেরিকার দেওয়া ‘বিশ্বের সেরা ও সবচেয়ে প্রাণঘাতী সামরিক সরঞ্জাম’ ব্যবহার করেছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরান চুক্তি না করলে আরও হামলা হবে।

ট্রাম্পের এ পরিবর্তিত অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন জটিলতা তৈরি করেছে। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অধীনে তার পররাষ্ট্রনীতি কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এইচ.এস/

ডোনাল্ড ট্রাম্প

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন