বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝটিকা মিছিলের ভিডিও, বাস্তবে তেমন কিছু না: ডিএমপি কমিশনার *** সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে ৩৬ প্রস্তাব বিএনপির *** ভারতে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অস্ত্র এআই: গবেষণা *** মিরপুরেই শেষ ম্যাচ খেলতে চান সাকিব *** শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে, জানা যাবে ১৩ই নভেম্বর *** হত্যা মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ দুজনকে অব্যাহতির সুপারিশ *** জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রীর ছেলে যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে *** শনিবারের ক্লাস নিয়ে বিভ্রান্তি, স্পষ্ট করলেন শিক্ষক নেতা আজিজী *** বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ছে, দামের উত্তাপ কমছে *** ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানালেন বিশ্বখ্যাত ইহুদিরা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের রাতে মোবাইলের আলোয় জন্ম নিলো দুই নবজাতক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, ২৮শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব চলছে বাইরে। ঘরে প্রসব বেদনা বেড়েই চলেছে প্রসূতির। নিরুপায় হয়ে স্বজনরা ঝড়ের মধ্যেই প্রসূতিকে নিয়ে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এদিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হাসপাতাল। প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের মোবাইল ফোনের টর্চের আলোতে পৃথিবীর আলো দেখল দুই নবজাতক। ডাক্তারদের প্রচেস্টায় সুস্থ আছেন মা আর সন্তানেরা।  

সোমবার (২৭শে মে) হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে দুই নবজাতককে পৃথিবীর আলো দেখান ডা. সুমাইয়া ইসলাম। 

জানা যায়, হাতিয়া উপজেলার দূরবর্তী ইউনিয়ন চরকিং থেকে রাত ১২টায় হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ফ্যান্সি বেগম (৩০)। একটি ফুটফুটে কন্যা শিশু জন্মের মাধ্যমে তিনি ৫ম বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় রেমালের রাতে। কিন্তু প্রসবের পর তার প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. সুমাইয়া ইসলাম এবং মিডওয়াইফ সাবরিনার আন্তরিক চেষ্টায় মায়ের সুস্থভাবে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে ব্লাড ট্রান্সফিউশন এবং সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে রোগীর শক ও প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সক্ষম হন তারা। 

আরো পড়ুন: আবারও বুক পেতে রক্ষা করলো সুন্দরবন

আরও জানা যায়, দ্বিতীয় রোগী হাতিয়া উপজেলায় নিজ বাসায় ডেলিভারির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। রোগীর হিমোগ্লোবিন ৬.৫ শতাংশ থাকায় জরুরি ভিত্তিতে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে ডা. সুমাইয়ার তত্ত্বাবধানে মিডওয়াইফ মিম এবং সাবরিনার সহোযোগিতায় ওই রোগীরও স্বাভাবিক প্রসব করানো সম্ভব হয়। কিন্তু প্রসব পরবর্তীতে তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়। বর্তমানে দুই মা ও দুই শিশু সুস্থ আছে।

ডা. সুমাইয়া ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে হাতিয়া উপজেলায় গত ২৬শে মে রাত থেকে বিদ্যুৎ ছিল না। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব চালছিল। প্রসূতি দুইজনের অবস্থাই খারাপ ছিল। সব কিছু মিলিয়ে যে কী অবস্থা পার করেছি আল্লাহ ভালো জানেন। শেষে মোবাইল ফোনের টর্চের আলোর সহায়তায় দুইজন মা ও শিশুর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো আছেন।

হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের জন্য মা-মনি প্রজেক্ট ছিল আশীর্বাদ। মা মনির পর নতুন করে আবার চালু হয় প্রসূতি মায়ের সেবা। সেটার মাধ্যমে আমাদের মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। এছাড়া বিনামূল্যে সিজার অপারেশন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে হাতিয়ার জন্য ইউএনএফপিএর সাপোর্ট বিশাল আশীর্বাদ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ না থাকা সত্ত্বেও মোবাইল ফোনের আলো দিয়ে নরমাল ডেলিভারিতে দুই নবজাতকের জন্ম হয়েছে। বর্তমানে দুই মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন।

এইচআ/ 

নরমাল ডেলিভারি ঘূর্ণিঝড় রেমাল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250