সোমবার, ২৮শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমান বিধ্বস্তের সময় স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী অভিভাবকদের অপেক্ষায় ছিল: মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:২৮ অপরাহ্ন, ২৪শে জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের আগে ছুটি হওয়ায় সে সময় স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী অভিভাবকদের জন্য স্কুলে অপেক্ষা করছিল বলে জানিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার (২৪শে জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানানো হয়।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ২১শে জুলাই বেলা ১টা ১২ মিনিট থেকে ১টা ১৪ মিনিটের মধ্যে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দিয়াবাড়ি স্থায়ী ক্যাম্পাসে একটি দোতলা ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণরত অবস্থায় বিধ্বস্ত হয়। বেলা ১টায় স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ায় তখন অভিভাবকদের জন্য শুধু স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী অপেক্ষারত অবস্থায় ছিল। এ সময় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঘটনার আকস্মিকতায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ হতবিহ্বল, স্তব্ধ ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে মুহূর্তের মধ্যে মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও এলাকাবাসী উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের প্রশিক্ষিত জনবল সম্মিলিতভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।

এতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমাদের স্কুল শাখার ১৮ জন শিক্ষার্থী, দুজন শিক্ষক ও দুজন অভিভাবক মৃত্যুবরণ করে। এ দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয় ৫১ জন। তাদের মধ্যে ৪০ জন শিক্ষার্থী, সাতজন শিক্ষক, একজন অভিভাবক, একজন আয়া ও একজন পিয়ন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে পাঁচজন, যাদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী, দুজন অভিভাবক।’

কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ঘটনায় ২২শে জুলাইয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শুধু এ প্রতিষ্ঠানে নিহত, আহত ও নিখোঁজের তথ্য তুলে ধরছে। কর্তৃপক্ষের তথ্য হালনাগাদকরণের কাজ চলমান। এ দুঃখজনক ঘটনায় হতাহতের মোট সংখ্যা তুলে ধরেছে আইএসপিআর। হৃদয়বিদারক এ দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের শোকাহত সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহ সব প্রয়োজনে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ সর্বদা পাশে রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘আমাদের শিক্ষার্থী ও সন্তান হারানোর এ চরম শোকসন্তপ্ত অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টারা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট, অভিভাবকরা, এলাকাবাসীসহ পুরো জাতি আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। প্রত্যেকেই তাদের অবস্থান থেকে সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিমানবাহিনী গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিদের উন্নত ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এ ব্যাপারে চিকিৎসা ও সেবা কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য একটি জরুরি সেল গঠন করেছে বিমানবাহিনী।’

বিমান বিধ্বস্ত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন