ছবি : সংগৃহীত
নিয়মিত যারা মোটরসাইকেল চালান তাদের জানতে হবে বর্ষায় কত গতিতে মোটরসাইকেল চালানো নিরাপদ। গতিসীমা মেনে চললে আপনি যেমন সুরক্ষিত থাকবেন তেমনি আইনও ভঙ্গ করা হবে না।
বর্ষাকালে মোটরসাইকেল চালানোর সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ রাস্তা ভিজে পিচ্ছিল হয়ে যায়। ভেজা রাস্তায় বাইকের গ্রিপ কমে যায় এবং নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বৃষ্টিতে মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। তাই জানতে হবে বর্ষায় কত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে।
বৃষ্টিতে মোটরসাইকেলের গতি থাকা উচিত ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন বর্ষাকালে কিংবা ভেজা রাস্তায় বাইকের গতি যত কম হবে ততই দুর্ঘটনা কম ঘটবে।
আরো পড়ুন : চ্যাটজিপিটির ইউজার বেড়েছে দ্বিগুণ
উচ্চ গতিতে বাইক চালানোর বিপদ
উচ্চ গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে রাস্তায় টায়ারের গ্রিপ দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যার ফলে বাইকটি স্লিপ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ব্রেকিং সমস্যা : উচ্চ গতিতে ব্রেক করার সময়, বাইকটি স্কিড হতে পারে, যার ফলে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে।
দৃশ্যমানতা হ্রাস : ভারী বৃষ্টিতে দৃশ্যমানতা ইতিমধ্যেই হ্রাস পেয়ে থাকে। তাই উচ্চগতিতে সময়মত বাইক থামানো বা দিক পরিবর্তন করতে সমস্যা হতে পারে।
অন্যান্য সতর্কতা
ব্রেকের সঠিক ব্যবহার : ব্রেক করার সময় হঠাৎ ব্রেক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ধীরে ধীরে ব্রেক দিতে হবে।
রাস্তার উপরিভাগের দিকে খেয়াল : জলাবদ্ধ গর্ত, ম্যানহোল এবং তেলযুক্ত রাস্তাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এগুলো অত্যন্ত পিচ্ছিল হতে পারে।
নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে : অন্য যানবাহন থেকে যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যাতে হঠাৎ ব্রেক করার ক্ষেত্রে নিরাপদ থাকা যেতে পারে।
নিরাপত্তা গিয়ার : বৃষ্টি দৃশ্যমানতা হ্রাস করতে পারে, তাই রঙিন এবং প্রতিফলিত জ্যাকেট পরতে হবে এবং একটি হেলমেট সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
এসব বিষয় মাথায় রেখে বৃষ্টিতে নিরাপদ এবং আরামদায়ক বাইক চালানো নিশ্চিত করা যেতে পারে।