ছবি : সংগৃহীত
প্রত্যেক বাবা-মায়ের বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানের মনের দিকে মনোযোগ রাখা জরুরি। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘বয়ঃসন্ধির সময়টা এমনই যে ছেলেমেয়েদের শরীরে হরমোনের বিশেষ তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে তাদের মেজাজ ও মনে প্রভাব পড়ে। এই বয়সে যৌন হরমোনের নিঃসরণ বেশি হয়। শরীর ক্রমশ যৌবনের দিকে এগুতে থাকে। ফলে ছেলে বা মেয়ে, উভয়েরই শরীরে বদল আসে। এই সময় কিছু নিউরনের ‘কানেক্টিভিটি’ বা সংযোগের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসে। যার ফলে মনোজগতে প্রভাব পড়ে। হরমোনের প্রভাব মস্তিষ্কেও পড়ে।’
তিনি জানান, মূলত মেজাজের ওপর প্রভাব ফেলে সেরোটোনিন নামে একটি হরমোন। নিউরো হরমোন সঠিক ভাবে কাজ না করলেও মেজাজ খারাপ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে অভিভাবকেরা কী করবেন? তার কিছু পরামর্শ:
আরো পড়ুন : গরমে কোন রঙের পোশাক পরলে শরীর ঠান্ডা থাকবে?
ব্যালান্স প্যারেন্টিং জরুরি
সন্তানের মেজাজ বদলের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে বাবা-মা নিজেও রাগ হতে পারেন। এমনটি না করে একজন মনোরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। বা নিজেই গুছিয়ে নিন। সন্তানকে বুঝতে হবে, তার কার্যাবলী নজরেও রাখতে হবে, আবার তাকে ছাড়ও দিতে হবে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, সন্তানকে স্বাধীনতা দিয়ে কোনও খেয়াল রাখবেন না। ছোট থেকেই যদি এমন অভিভাবকত্বে শিশু বড় হতে থাকে, তা হলে বয়ঃসন্ধির দোরগোড়ায় পৌঁছে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অনেক সময় বাবা-মায়ের মধ্যে সু-সম্পর্কের অভাব বা নিরাপত্তাহীনতা তাদের জীবনে বাড়তি সমস্যা তৈরি করে।
নিজেকে সামলাতে হবে
ছেলেমেয়ে যদি চিৎকার করে সেই সময় আপনাকেই থেমে যেতে হবে। পরিস্থিতি শান্ত হলে, জিজ্ঞাসা করতে পারেন, কিছু হয়েছে কি না। যে কোনও সমস্যায় বাবা-মা পাশে থাকবেন, এই ভরসাটুকু সন্তান পেলে তাদের পক্ষেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজতর হতে পারে।
নিজেকে ওই বয়সের জায়গায় ভাবতে হবে
বাবা-মা হিসেবে এই বয়স পার করায় আপনাকেও ওদের অবস্থা বুঝতে হবে। অনেক সময় বাবা-মা সুলভ আচরণের কারণে সন্তানের সঙ্গে বোঝাপড়ায় সমস্যা হয়। কিন্তু আপনাকে এমন পরিবেশ দিতে হবে যাতে সে নির্ভয়ে আপনাকে সব খুলে বলতে পারে।
এস/ আই.কে.জে