প্রতীকী ছবি
শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে বহুল আলোচিত চূড়ান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৯শে জুলাই। তবে এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি সরাসরি নয়, ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৈঠকটি চলবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। আড়াই ঘণ্টার এ বৈঠকে দুই দেশের মনোনীত প্রতিনিধিরা আগেভাগেই প্রস্তুত করা খসড়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবেন এবং শুল্ক ইস্যুতে জোরালো দর-কষাকষিতে অংশ নেবেন।
বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমেরিকার ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের (ইউএসটিআর) সঙ্গে আলোচনাটি হবে মূলত টেকনিক্যাল ফরমেটে, কিন্তু এর কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব অত্যন্ত উচ্চমাত্রার। তারা বৈঠকটি ভার্চুয়ালি করার প্রস্তাব দিলেও আমরা চেষ্টা করছি যেন সশরীরে গিয়ে আলোচনা করা যায়।’
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার (২৪শে জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বৈঠকের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ২৫শে জুলাইয়ের কথা বলেছিলেন। তবে পরে তারিখ পরিবর্তন করে ২৯শে জুলাই নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন একসময়ে, যখন আমেরিকার ঘোষিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার আর মাত্র দুই দিন বাকি থাকবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ই জুলাই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে ১লা আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকরের সিদ্ধান্ত জানান। এতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ৫০ শতাংশ শুল্ক বসতে পারে, যা দেশটির বাজারে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় বড় ধরনের ধাক্কা হবে।
এরই মধ্যে পাল্টা শুল্ক নিয়ে দুই দফা আলোচনা হলেও কার্যত কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে এ চূড়ান্ত দফার আলোচনাকেই ‘শেষ মুহূর্তের সুযোগ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কতটা আশাবাদী, এ প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি, ভালো কিছু হবে। যা যা করণীয়, তা আমরা করছি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, ভালো কিছু আসবে ইনশাআল্লাহ।’
খবরটি শেয়ার করুন