রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান: আসিফ নজরুল *** ৫ই আগস্ট সামনে রেখে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী *** কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে উড়োজাহাজের সঙ্গে কুকুরের ধাক্কা... *** ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ *** অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর শেখ হাসিনা সরকারের ‘ছায়া’ দেখছেন আনু মুহাম্মদ *** পাকিস্তানের সামরিক বহরে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, ঘুরে দেখলেন আসিম মুনির *** শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূস একটি কথাও বলেননি: মেজর (অব.) হাফিজ *** বরিশালের কোচ হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল *** যেভাবে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান *** আমেরিকার তুলায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কিছুটা শুল্ক ছাড় পাবে বাংলাদেশ: বিজিএমইএ

সমুদ্র সম্পদ অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে

বিশেষ প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০২:০১ অপরাহ্ন, ৩রা জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণের কাজটি সহজ নয়। এ কঠিন কাজে সফল হওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। জয় করা সমুদ্রকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। জানা যায়, আমাদের সমুদ্র থেকে ৫ শতাধিক প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ আহরণসহ তেল-গ্যাস উত্তোলনেও বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। দেশের মাত্র ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত সমুদ্র এলাকা থেকে মাছ আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে।

গভীর সমুদ্রে মাছসহ খনিজসম্পদ আহরণে বেশকিছু পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। অথচ ভারত, মিয়ানমার সামুদ্রিক মাছ আহরণসহ খনিজসম্পদ উত্তোলনে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

গভীর সমুদ্রে, বিশেষ করে মাছ আহরণে ২০২০ সালে নেওয়া ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প’ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে। ৬১ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় তিনটি ফিশিং ভেসেল ক্রয়সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার কথা, যা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে ১৯টি বেসরকারি কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়া হলেও কোনোটিরই কার্যক্রম নেই।

মৎস্য আহরণে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হলে শত প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ আহরণ করা সম্ভব। আমাদের সমুদ্রসম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হলে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে এ খাতে। সমুদ্র অঞ্চলে আমাদের খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। এ জন্য বিভিন্ন উন্নত দেশ ও বড় প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে বৃহৎ পরিসরে গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্যোগ নিতে হবে।

গভীর ও অগভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়, যে সক্ষমতা কেবল উন্নত দেশগুলোরই রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সমুদ্রসম্পদ আহরণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। 

অতীতে সরকারিভাবে এ বিষয়ে বহু উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলোর ফলাফল কেন হতাশাজনক, তা খুঁজে বের করা দরকার। যেহেতু সমুদ্রসম্পদ আহরণে আমাদের দেশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

আরো পড়ুন: ঋণ সুবিধার শর্ত শিথিলের প্রভাব পড়বে কি শেয়ারবাজারে?

সেহেতু বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার পাশাপাশি এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে গুরুত্ব বাড়াতে হবে। এ খাতে আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতা এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে, যাতে দেশের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে গভীর ও অগভীর সমুদ্রে খনিজসম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণবিষয়ক সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যায়। 

এ খাতে অন্য দেশের সাফল্য বিবেচনায় নিয়ে আমাদের করণীয় নির্ধারণ করা দরকার। বাংলাদেশ জনবহুল হওয়ায় দ্রুত সমুদ্রসম্পদ আহরণের প্রয়োজনীয়তা আমাদের আরও বেশি। সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, এটাই কাম্য।

সমুদ্র অর্থনীতি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন