মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বসতঘরে হামলার নিন্দা, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি *** থাই রাজার সন্ন্যাসী পুত্রের আবেগঘন বার্তা কীসের ইঙ্গিত *** ব্রাজিলকে শিরোপা জেতানো কোচকে নিয়োগ দিল বসুন্ধরা *** বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধান উপদেষ্টাকে সৌদি আরবের আমন্ত্রণ *** বাংলাদেশসহ ৯৮ দেশে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে, সক্রিয় করবেন যেভাবে *** ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাঝে ফায়ার অ্যালার্ম, তদন্তে ৫ সদস্যর কমিটি *** ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাঝে ফায়ার অ্যালার্ম, তদন্তে ৫ সদস্যর কমিটি *** ৩রা আগস্ট খুলছে মাইলস্টোনের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাস *** মাঝ আকাশ থেকে ফেরত এলো বিমানের ঢাকা-দাম্মাম ফ্লাইট

বাসে যৌন হয়রানি বন্ধে কিছু প্রস্তাবনা

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০১:৪৯ অপরাহ্ন, ১৫ই অক্টোবর ২০২৩

#

স্বাধীন মালিক

বাসে নারীদের যৌন হয়রানি দিন দিন বেড়ে চলছে। কোনোভাবে থামছেই না। এর সমাধান কোথায়? কিভাবে বন্ধ হবে তা আমাদের জানা নেই। শুধু বাসে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কি বন্ধ হবে নারীদের হয়রানি? আমাদের সবার আরও সচেতন হতে হবে। শুধু নারীর জন্য সামনের পাঁচ, সাত, দশটি সিট বরাদ্দই কি কমাবে নারী নির্যাতন?

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাসে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। গাড়িতে উঠার সময় হেলপার দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে নারীর শরীরের স্পর্শ পেতে। আবার হাত ধরে টেনে উঠায় তাড়হুড়ো করে। সিটে বসার সময় হয়রানির শিকার হয়। পাশের জন পুরুষ হলে অনেক ক্ষেত্রেই হাত-পা নাড়াচাড়া করে। নারীর শরীরের সাথে ঘেঁষে বসে, ঘুমের ভাব করে নারীর শরীরে হেলে পড়ে। সিটে বসার জায়গা না পেয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে গেলে কন্ডাকটরসহ পুরুষ যাত্রীরা নারীর শরীর ঘেঁষে থাকে। নানা বাহানায় শরীরে স্পর্শ করার চেষ্টা করে, উড়না টেনে ধরে পেছন থেকে। ভাড়া কম-বেশি নিয়ে বাসের কন্ডাকটর যাত্রীদের বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ অশালীন কথা বলে। এভাবে নানাভাবে বাসে নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এর প্রতিকার কোথায়, সমাধান কিভাবে হবে?

বাসে নারী নির্যাতনের সমাধান

তবে এর সমাধান হতে পারে যেভাবে তা হচ্ছে-  বাসের মাঝের অংশ কোনো দাঁড়ানো যাত্রী থাকতে পারবে না। সিট ভরা লোক হলে গাড়ি ছাড়তে হবে। কারণ বাসের পেছনের সিটে যদি নারী যাত্রী বসে এবং মাঝখানে পুরুষ যাত্রী দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে তাহলে নারী যাত্রীকে গন্তব্য স্থানে নামার সময় সব পুরুষকে ঠেলে সামনে আসতে হবে। এতে নারীর শরীর ঐ সব পুরুষ যাত্রীর শরীরের সাথে লেগে যায়। আবার কিছু পুরুষ ইচ্ছে করে সিটে হাত দিয়ে থাকে নারীর শরীরের ছোঁয়া পেতে। তাই বাসে সিট ভরা লোক হলে ছাড়তে হবে। একটি নারী যাত্রী উঠলে, সিটে বসার জায়গা না থাকলে তাকে বসার জায়গা করে দিতে হবে। যদি বসার জায়গা না থাকে তাহলে নারী যাত্রী গাড়িতে উঠানো যাবে না। আবার বাস ভর্তি লোক দেখে নারীরা উঠবেন না। কারণ বাসের মাঝ অংশ ফাঁকা থাকলে যাত্রী খুব সহজে উঠে সিটে গিয়ে বসতে পারবে, আবার তাড়াতাড়ি নামতেও পারবে। এতে কোনো বাধার মুখে পড়তে হবে না যাত্রীকে। এ নিয়ম চালু করলে বাসে নারীর জন্য নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করি। 

কিছু প্রস্তাবনা

১। যাত্রী উঠা এবং নামার সময় হেলপার বা কন্ডাকটর দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।

২। নারী যাত্রী বাসে উঠলে তাকে বসার জায়গা করে দিতে হবে। সকল পুরুষের মাঝে মানসিক পরিবর্তন আনতে হবে।

৩। ভাড়া কম-বেশি নিয়ে বাসের হেলপার বা কন্ডাকটর যাত্রীদের সাথে অশালীন কথা বলতে পারবে না ।

৪। প্রতিটি বাসে পুলিশ হেল্প লাইন চালু করতে হবে। যাতে কোনো সমস্যা হলে সাথে সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

৫। প্রতিটি নারীকে নিজের মা-বোন মনে করে সম্মানের চোখে দেখতে হবে।

৬। নারী যাত্রীর জন্য কমপক্ষে ১০টি সংরক্ষিত সিট রাখতে হবে।

৭। বাস ভর্তি লোক দেখে নারী যাত্রীরা বাসে না উঠে একটু দেরি করে পরের বাসে ফাঁকা সিট দেখে উঠাই শ্রেয় হবে।

আসুন সবাই সচেতন হই, বাসে নারী নির্যাতন বন্ধ করি। সুন্দর সমাজ গড়ি।

স্বাধীন মালিক, মিঠাপুকুর, রংপুর

আই. কে. জে/ 

বাসে যৌন হয়রানি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন