শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে বাংলাদেশী নিত্যপণ্যের চাহিদা

বিশেষ প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, ৮ই জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে তৈরি নিত্যপণ্যের চাহিদা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। বাঙালিদের পাশাপাশি অন্যদেশের নাগরিকরাও কিনছেন এসব পণ্য। রফতানিতে যোগ হচ্ছে বাড়তি ডলার। সুপার শপগুলোকে টার্গেট করে অল্প সময়ের মধ্যে দেশটিতে বৃহৎ বাজার তৈরি করতে চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বেশ আগে থেকেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরে ১ হাজার ১৭৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করলেও আমদানির পরিমাণ ছিল ২শ’ ৮৩ কোটি ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এবার নিত্যপণ্যের বাজার দখল করতে চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। ৫০টি স্টেটের ১৫৬টি শহরে এসব পণ্য তুলে ধরছেন তারা। ক্রেতারা জানান, যত ধরনের বাংলাদেশী মাছ সবই পাওয়া যায়। শাক-সব্জি, ড্রাই খাবার, মুড়ি, ছোলা থেকে শুরু করে সবকিছুই এখানে পাওয়া যাচ্ছে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, কচুরলতি, কাঁঠালের বীজসহ সব সবজি, সব ধরনের মিষ্টিও আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এবার নিত্যপণ্যের বাজার দখল করতে চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। ৫০টি স্টেটের ১৫৬টি শহরে এসব পণ্য তুলে ধরছেন তারা।

টেক্সাসে বিডি হালাল ফুড লিমিটেডের নাসিমুজ্জামান নাসিম বলেন, “শুধু ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যেই নয়, অবশ্যই বাংলাদেশকে সাপোর্ট করার জন্য। কেননা আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। রেমিটেন্স পাঠানোর, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য ব্যবসার উদ্দেশ্য।”

হিউস্টোন বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের বিদায়ী চেয়ারম্যান খালেদ জুলফিকার খান বলেন, “এখানকার ডলারগুলো যাতে বাংলাদেশে যায় এবং ভবিষ্যতে আরও প্রোডাক্ট যাতে এখানে আনতে পারি এর জন্য যারা উৎপাদন করেন তারা যেন কোয়ালিটিটা বজায় রাখেন।”

এতোদিন শুধু ভারত, পাকিস্তান, নেপাল আর বাংলাদেশী অভিবাসীরাই ছিলেন এসব পণ্যের ক্রেতা। ক্রমশ অন্য দেশের নাগরিকেরাও বাংলাদেশী পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত হচ্ছেন। 

ডালাস ব্রুবাই ফুড মার্টের চেয়ারম্যান নাজিয়া সামাদ বলেন, “আমি বাঙালি, আমার পণ্যটা সবার কাছে পরিচিত করার জন্য আমি বেটার ফিল করি। যদিও আমেরিকাতে সেইভাবে আমি কিছু হতে পারবোনা, নিজের দেশটাকে যতটুকু আমি প্রোমোট করতে পারি। আমার কাস্টমারের বিরাট একটা অংশ হচ্ছে মেক্সিকান। ওরা বেশ আগ্রহ দেখায় যখন বলি এটা আমার ওউন কান্ট্রি থেকে এসেছে, ট্রাই করে দেখতে পারেন।”

দেশি পণ্যের বাজার ক্রমশ বড় হওয়ায় গর্বিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

হিউস্টোন চেক পয়েন্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ ফারুক বলেন, “বিশেষ করে আমেরিকার মতো জায়গায় আমাদের বাংলাদেশী পণ্যের একটা মার্কেট তৈরি হচ্ছে। আমরা সবাই পছন্দ করি, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসব স্টোরে আসছেন। এটা দেখেই শান্তি যে আমার প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশীয় পণ্য নিচ্ছেন এবং তারাও আনন্দিত হয় যে বাংলাদেশি স্টোরে আসতে পেরেছেন। মেক্সিকো ও কলাম্বিয়ানদেরও এই খাবারের প্রতি আগ্রহ, তারা কিনছেন। এমনকি আমেরিকানরাও পছন্দ করছেন।”

আরো পড়ুন: অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ১৪ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

হাজার হাজার মাইল দূরে এসেও মন পড়ে থাকে দেশের মাটিতে। তাই যে কোনো সুযোগ এলে বাংলাদেশী পণ্যকে তুলে ধরে আমেরিকার বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। তাদের আশা, এইভাবে চলতে চলতে হয়তো একদিন আমেরিকার রাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের বিশাল বাজার সৃষ্টি হবে।

এম এইচ ডি/ এম 

বাংলাদেশ নিত্যপণ্য যুক্তরাষ্ট্র বাঙালি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন