শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** থানা হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি *** জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ উদ্বোধন *** বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পর সোনাও জিতলেন ‘ম্যাজিক’ মারশাঁ *** নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতাকর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে এক মেজর *** জুলাই সনদ আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি-জামায়াতসহ ২৯ দল *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত

পরিচ্ছন্নতার জন্য বিখ্যাত অরুণাচল প্রদেশের একটি গ্রাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, ২৭শে আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তার আশেপাশে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়, সেখানে অরুণাচল প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে যত্রতত্র ময়লা ফেলার জন্য জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে।

পশ্চিম সিয়াং জেলা সদর দপ্তর আলো থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুগি পোমতে, গালো সম্প্রদায়ের বাসভূমি। এখানকার গ্রামবাসীরা যত্রতত্র ময়লা ফেলার ব্যাপারে ভীষণ সোচ্চার। এমনকি একদিনের বেশি যেন কোন ময়লা পড়েও না থাকে সে বিষয়েও তারা খেয়াল রাখেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম যেমন, ১৯৯৯ সালের নির্মল ভারত অভিযান বা ২০১৪ সালের স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই প্রায় ৮০ এর দশক থেকে তারা নিজেদের গ্রামকে পরিষ্কার রাখার এ অভ্যাস গড়ে তুলেছে।

এ ব্যাপারে জোমগাম ইতে বলেন, ৮০ এর দশকে ম্যালেরিয়াসহ অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। রোগব্যাধি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে তখন গ্রামবাসীরা পরিবেশ পরিষ্কার রাখার এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

গ্রামের কোথাও প্লাস্টিকের বোতল কিংবা পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া যাবে না। অথবা কেউ এখানে মৃত পশু বা নোংরা আবর্জনাও পাবেন না।

যেসব জিনিসগুলো পুনরায় ব্যবহার করা যায় না সেগুলোকে গ্রামের বাইরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয় এবং পরবর্তীতে সরকারি সংস্থা এগুলোকে সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। মৃত প্রাণীকেও নির্দিষ্ট স্থানে সমাহিত করা হয়।

কোন গ্রামবাসী এ নিয়ম না মানলে তাকে ৫০০ টাকা জরিমানা প্রদান করতে হয়। খোলামেলা মলত্যাগের জন্যেও এখানে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। জরিমানার সমস্ত অর্থ গ্রাম পরিষদে যায়।

প্রায় ৩০ টি পরিবার এবং ১৮৩ জনেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক বাস করেন এ গ্রামে। গ্রামটিতে ২০০৩ সালের নভেম্বরে টয়লেট নির্মাণের মাধ্যমে শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা হয়।

২০০৪ সালে স্যানিটেশন অভিযানের জন্য গ্রামটি পশ্চিম সিয়াং জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ট্রফি অর্জন করে। এর পাঁচ বছর পর রাজ্যের তৎকালীন রাজ্যপাল জে জে সিংয়ের কাছ থেকে নির্মল গ্রাম পুরষ্কার অর্জন করে গ্রামটি।

প্রতিবছর আগস্ট মাসের যেকোন সুবিধাজনক দিনে এবং ২ অক্টোবরে গ্রামবাসীরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে।

এখানে বড় যেকোন অনুষ্ঠানে ধূমপান করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাছাড়া স্থানীয় মদ পানের অনুমতি থাকলেও বিদেশি মদ এখানে নিষিদ্ধ।

আর.এইচ 

অরুণাচল প্রদেশ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন