শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট *** ফার্মেসির পরামর্শে ডায়রিয়াতেও শিশুকে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক: গবেষণা

ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদনে সম্মতিপত্র পেলো ৮ প্রতিষ্ঠান

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৪১ অপরাহ্ন, ২২শে অক্টোবর ২০২৩

#

ফাইল ছবি

নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি লেনদেনকে সহজ করতে ডিজিটাল ব্যাংক চালু হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সময়ে দেশি-বিদেশি ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দিয়েছে। আবেদন করেছে সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর, তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী উদ্যোগ, এমনকি ওষুধ কোম্পানি ও ঢেউশিট উৎপাদনকারী কোম্পানিও। 

ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রোববার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় সম্মতিপত্র (এলওআই) দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় অর্থ সচিবসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, নুরুন্নাহারসহ প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বোর্ড সভায় অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে পাঁচ থেকে সাত ব্যাংককে সম্মতিপত্র দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ সনদ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যারা শর্তপূরণ করতে পারবে তারাই সনদ নিয়ে ব্যবসা করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ৫২ প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। তিনটা কমিটি মূল্যায়ন করেছে। আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকনোলজি, সিকিউরিটিসহ আরও কিছু বিষয় মিলে ১০০ স্কোর ধরে মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যে যারা ৬০’র বেশি স্কোর পেয়েছে তাদের মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে নেওয়া হলেও ইন্স্যুরেন্সের একটিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বাকি ৮টিকে এলওআই দেওয়া হয় যার মধ্যে ৩টি ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের বাইরের। 

তিনি আরও বলেন, নীতিগত অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন প্রতিষ্ঠান হলো- ডিজি টেন, ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ এবং ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি হলো- নগদ ও এসিআই-এর কড়ি ডিজিটাল পিএলসি।। এ দুটিই এখন এলওআই ইস্যু করা হলো। বাকি তিন প্রতিষ্ঠানকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এ তিন প্রতিষ্ঠান একই গ্রুপের হওয়ায় নগদ ও কড়ির পারফরম্যান্স দেখে ছয় মাস পর এলওআই ইস্যু করা হবে।

ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে আবেদন করেছে ব্যাংকসহ ৫২টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আবেদনকৃত তালিকার মধ্যে ১০টি বেসরকারি ব্যাংকের ‘ডিজি টেন ব্যাংক পিএলসি’ নামে একটি কনসোর্টিয়াম রয়েছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। তাছাড়া চার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা এবং রূপালী ব্যাংকও আরেকটি ডিজিটাল ব্যাংকজোট গঠন করতে চায়। লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী নগদ, বিকাশ, মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক এবং ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থা পাঠাও।

ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রধান একটি কার্যালয় থাকবে কিন্তু সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন। নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম-সিআরএম থাকবে না। এটি হবে অ্যাপ-নির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে।

আরো পড়ুন: প্রবাসীদের জন্য সুখবর, ব্যাংকের প্রণোদনা চালু

নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মূলধন ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে প্রথাগত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগে ৫০০ কোটি টাকা। এ ব্যাংকে প্রত্যেক স্পনসরের সর্বনিম্ন শেয়ারহোল্ডিং হবে ৫০ লাখ টাকা (সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা ১২.৫ কোটি টাকা)।

পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারী একটি স্পনসরকে যৌথভাবে ক্যাপিটাল মেইনটেন্যান্স চুক্তি (সিএমএ) স্বাক্ষর করতে হবে। তবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে কোন সময়ে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপি হয়েছেন এমন কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের স্পনসর হিসেবে আবেদন করার যোগ্য হবেন না। একইভাবে ঋণখেলাপি অবস্থা বা তার বিরুদ্ধে কোনো আদালত ট্রাইব্যুনালে কোনো নিষ্পত্তিকৃত মামলার রায়ের অপেক্ষায় থাকলেও তিনজনের স্পনসর হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না।

এসকে/

বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন ৮ প্রতিষ্ঠান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন