বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানালেন বিশ্বখ্যাত ইহুদিরা *** আরব সাগরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের মাদক উদ্ধার পাকিস্তান নৌবাহিনীর *** সরকারে থাকা ‘দলীয় উপদেষ্টা’ আসলে কারা *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোটের দাবি জামায়াতের *** পুলিশের বলা ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ নিয়ে প্রশ্ন জোবায়েদের শিক্ষকের *** দেশের সব ভূমি অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ *** ‘উপদেষ্টা পরিষদে শুদ্ধি অভিযান জরুরি’ *** বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর: নাহিদ *** শুক্র ও শনিবার বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে *** সেন্ট মার্টিন নিয়ে ১২ নির্দেশনা সরকারের, প্রজ্ঞাপন জারি

জুমার আজানের পর যেসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৫ অপরাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২৩

#

ইসলামে জুমার দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর বিভিন্নভাবে এ দিনটিকে মর্যাদা দিয়েছেন। হাদিসে জুমার দিনকে দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এমন কি ইদুল ফিতর ও ইদুল আজহার দিনের চেয়েও বেশি সম্মানিত বলা হয়েছে। সৃষ্টিকুলের ইতিহাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে জুমার দিন। জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তায়ালার কাছে এতো বেশি যে, কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল করা হয়েছে। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য হাদিস গ্রন্থগুলোতে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। রাসুল সা. একটি হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৯৮)।

ইসলামের প্রথম যুগে জুমার আজান একটি ছিল। তখন শুধু খুতবার আগেই আজান দেওয়া হতো। পরে মানুষের অবহেলা বেড়ে গেলে ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.) প্রথম আজানটি চালু করেন। এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম ঐকমত্য পোষণ করেন। ফলে ইজমার মাধ্যমে প্রথম আজানও জুমার অংশে পরিণত হয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুমার আজানের পর যে বেচাকেনা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা মূলত জুমার দ্বিতীয় আজান। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (সুরা জুমুআ: ৯)

আলিমগণ বলেন, জুমার দ্বিতীয় আজানের পর সব ধরনের পার্থিব কাজকর্ম করা হারাম। এতে কারও দ্বিমত নেই।

আর প্রথম আজান সম্পর্কে ফকিহগণ বলেছেন, প্রথম আজানের পরও জুমার প্রস্তুতিমূলক কাজ- যেমন গোসল, অজু, টয়লেট, কাপড় পরিধান ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করাও নাজায়েজ।

আরো পড়ুন: জুমার দিন যে কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে ফজিলত সমৃদ্ধ

জুমার দিন জুমার খুতবা শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও ধরনের কথা বলা নিষেধ এবং চুপ করে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) বলেছেন- জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে ‘চুপ করো’ বলো সেটাও অনর্থক।” (বুখারি, হাদিস: ৮৯২; মুসলিম, হাদিস: ২০০৫)

হাদিস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব ও কথাবার্তা বলা হারাম। অনুরূপ খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন, তখন নামাজ পড়বে না, কথাও বলবে না।’ (মেশকাত, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৪৩২)

এসকে/ 

জুমার নামাজ আজান ফজিলত

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250