শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** থানা হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি *** জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ উদ্বোধন *** বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পর সোনাও জিতলেন ‘ম্যাজিক’ মারশাঁ *** নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতাকর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে এক মেজর *** জুলাই সনদ আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি-জামায়াতসহ ২৯ দল *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত

আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫২ অপরাহ্ন, ১৪ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদেশ ইরান ও রাশিয়া এবং তার মিত্রদেশ উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের সাহায্যে আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে চীন। অবশ্যই পাকিস্তানও তাকে এ কাজে সাহায্য করছে।

গত ১৩ এপ্রিল, আফগানিস্তানের প্রতিবেশি দেশগুলোর চতুর্থ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে আফগানিস্তানের সমরকন্দে যান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। উজবেকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইদভের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে অংশ নেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহিয়ান, তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুখরিদ্দিন, তুর্কমেনিস্তানের প্রথম উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাজিয়েভ এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শিনা।

কিন গ্যাং জানান, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল এবং সংকটময় সময়ে দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে প্রতিবেশি দেশগুলোর কাছ থেকে আরো মনোযোগ লাভের আশা করছে। তাই প্রতিটি দেশের উচিত একে অপরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শন করা, পূর্ববর্তী বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা এবং আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও উন্নয়নকে সমর্থন করা।

তিনি প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের স্থিতিশীল উন্নয়ন অর্জনে সহায়তার জন্য সকল রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রথমত, আফগানিস্তানের সন্ত্রাসী বাহিনীকে দমন করতে হবে। এদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস করতে হবে এবং দেশটিকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করতে হবে। দেশের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবিলম্বে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একতরফা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত।

চীন সরকার আফগানিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী তা বেশ ভালোভাবেই বুঝা যাচ্ছে।

চীন আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব, গভীর বন্ধুত্বের নীতি মেনে চলে অন্যান্য দেশের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন। আফগানিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী অভিযোগ এনেছে চীন।

কিন গ্যাং সমরকন্দে আফগান ইস্যুতে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এবং যথাক্রমে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং আফগান অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোত্তাকির সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।

চীন আফগানিস্তানের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং সন্ত্রাস বিরোধী কাজে দেশটিকে সহায়তা করতে ইচ্ছুক। তবে কিন গ্যাং এর উজবেকিস্তান সফরের সময় "আফগান ইস্যুতে চীনের অবস্থান" শিরোনামে একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়।

এখানে আফগানিস্তানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করা হয়। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবানরা কাবুল দখলের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়।

বিবৃতির ১১ টি পয়েন্টের মধ্যে তিনটিতে তালেবানের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপের সরাসরি উল্লেখ রয়েছে।

Important Urgent

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন