শুক্রবার, ২৪শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** গানের সুরে শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন মাদক গ্রহণের কথা, ভিডিও ভাইরাল *** এ মাসেই ২০০ আসনে প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন *** পশ্চিম তীর দখলে ইসরায়েলি পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানাল বাংলাদেশ *** বিনা শর্তে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির *** নির্বাচনে নিজস্ব সিদ্ধান্তেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে ইসি *** নাম বদলে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ হয়ে গেল ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’ *** দেড় বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের *** ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী *** আদালত যাদের পলাতক বলবেন তারা নির্বাচন করতে পারবেন না: আসিফ নজরুল *** নির্বাচনে প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক

ব্যাংকের কার্ডে ই-কমার্স লেনদেন বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, ১লা মে ২০২৩

#

প্রতীকী ছবি

করোনা শুরু হলে দেশ লকডাউনে যায়। তখন অনলাইন কেনাকাটায় মানুষের আগ্রহ বাড়ে। ব্যাংকের কার্ডধারীদের মধ্যে এ প্রবণতা বেড়ে যায়। গত এক বছরে (মার্চ’ ২০২২-ফেব্রুয়ারি’ ২০২৩) ই-কমার্সে লেনদেন হয়েছে ১২ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। যা এর আগের একই সময়ের তুলনায় ২ হাজার ৯৬ কোটি টাকা বেশি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি সময়ে অনলাইন কেনাকাটায় ১০ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এরপরের বছরের একই সময়ে লেনদেন হয় ১২ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। অর্থাত্ এসময় কার্ডে অনলাইন কেনকাটায় লেনদেন বেড়েছে ২ হাজার ৯৬ কোটি টাকা।

করোনার সময়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয় ই-কমার্স। তবে ২০২১ সাল থেকে ইভ্যালি, ধামাকা শপিং, ই-অরেঞ্জ ও কিউকমের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসতে থাকে। এতে এই খাত থেকে আস্থা হারান গ্রাহকরা। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে আস্থা ফিরতে শুরু করে খাতটিতে। এর ফলে ই-কমার্সে কেনাবেচা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ই-কমার্সে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭২ কোটি টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭৭২ কোটি টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে ই-কমার্সে লেনদেন বেড়েছে ৩০০ কোটি টাকা। আর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল মাত্র ২৪৭ কোটি টাকা। অর্থাত্ তিন বছরের ব্যবধানে ই-কমার্সে লেনদেন বেড়েছে ৮২৫ কোটি টাকা।

এদিকে ই-কমার্স খাতে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে এলে এই খাতে গ্রাহকদের আস্থাহীনতা তৈরি হয়। অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অগ্রিম টাকা নিয়ে দীর্ঘদিনেও পণ্য বা সেবা সরবরাহ করছে না। এ নিয়ে ২০২১ সালের জুনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশিকা জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঐ নির্দেশনার আলোকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিশোধ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ নিজস্ব সেটেলমেন্ট হিসেবে ধারণ করবে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহের পর দাম পাবে। লেনদেন নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যাংক, এমএফএস বা ই-ওয়ালেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান কাজ করতে পারবে।

আরো পড়ুন:মহান মে দিবস আজ

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের জুনে ই-কমার্সে লেনদেন বেড়ে রেকর্ড ১ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা হয়েছিল। কিন্তু ই-কমার্স প্রতারণার প্রভাবে এক মাসের ব্যবধানে তা কমে দাঁড়ায় ৭৪২ কোটি টাকায়। তবে সরকারের ডিজিটাল কমার্স আইন ২০২১ প্রণয়নের পর গত বছরের এপ্রিলে আবার হাজার কোটির মাইলফলক স্পর্শ করে এই খাতের বেচা-কেনা। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ২ হাজার ২৫১ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

ই-কমার্স খাত জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করলে ইভ্যালি, ধামাকা শপিং, ই-অরেঞ্জ ও কিউকমের মতো প্রতিষ্ঠান অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কেনাকাটা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আর এ সুযোগেই প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। এছাড়া গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানগুলো। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার হস্তক্ষেপ করে। গ্রেফতার হতে থাকেন একে একে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা। এতে দেশের ই-কমার্স খাতের জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে বর্তমানে খাতটিতে আবারও লেনদেন বাড়তে শুরু করেছে

এম/ আই.কে.জে/


 

ব্যাংক ই-কমার্স লেনদেন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250