সোমবার, ২৮শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মাঝ আকাশ থেকে ফেরত এলো বিমানের ঢাকা-দাম্মাম ফ্লাইট *** শেখ হাসিনা তো বাংলাদেশের মানুষ, তাকে পুশ-ইন করা হচ্ছে না কেন: রিজভী *** দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি নেওয়া হবে দলগুলোর *** আগস্ট থেকেই শুরু পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ২০ বছর পর নিজের নাম লিখলেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত নারী, সম্ভব করল মাথায় বসানো চিপ *** প্রথমবারের মতো এক বছরেই ৪০৯ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ শোধ *** স্বৈরাচার রুখতেই সংলাপে অংশ নিচ্ছি: সালাহউদ্দিন আহমদ *** জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমেরিকার যুক্ততার অভিযোগ মিথ, বললেন সাবেক কূটনীতিক *** ১লা আগস্ট ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে উত্তরাঞ্চলের ৩ জেলা *** সাংবাদিকদের কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়ান আরেফি ৫ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, ২রা নভেম্বর ২০২৩

#

ফাইল ছবি

বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়ার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় আসামি মিয়ান আরেফির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর)  ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কাশিমপুর কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিয়ান আরেফিকে আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মীর। আবেদনের শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩০ অক্টোবর মিয়ান আরেফিকে কারাগারে পাঠান আদালত।

মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় মিয়ান আরেফিসহ অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এরপর গত মঙ্গলবার সাভার থেকে অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। বুধবার হাসান সারওয়ার্দীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুদ্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তারা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি মিয়ান আরেফি, হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। এসময় ১ নম্বর আসামি মিয়ান আরাফি নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন তিনি।

সেখানে ১ নম্বর আসামি বক্তব্যে দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। এ আসামি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

এজাহারে বাদী আরও অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন মিয়ান আরাফিকে মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উসকানি দেন। ১ নম্বর আসামি অন্য আসামিদের সহায়তায় সরকারের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করে সারাদেশে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।

এজাহারে বলা হয়, ওই সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে ১ নম্বর আসামির বক্তব্য শুনে এবং ভিডিও দেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে।

ওআ/

রিমান্ড বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন