শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট *** ফার্মেসির পরামর্শে ডায়রিয়াতেও শিশুকে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক: গবেষণা *** সরকারি জমিতে অবৈধ রেস্টুরেন্ট-মার্কেট, উচ্ছেদের দাবি স্থানীয়দের *** ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে বাধা দেখছেন না নজরুল ইসলাম খান

কুড়িগ্রামে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে লাল আঙ্গুর চাষে সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:২৬ অপরাহ্ন, ৩০শে মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি প্রজাতির লাল রঙের আঙ্গুরের চাষাবাদ করে সফলতা অর্জন করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী। দুই বিঘা জমিতে টানা দেড় বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিদেশি প্রজাতির আঙ্গুরের চাষ করে প্রশংসায় ভাসছেন কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী। স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় অধিক লাভের আশা করছেন কৃষক হাসেম আলী। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা আজোয়াটারী এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী অনেক স্বপ্ন নিয়ে দুই বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি প্রজাতির আঙ্গুরের চাষাবাদ করেন। টানা দুই বছর পরিশ্রমের পর অবশেষে সফলতা পেয়েছেন। এখন তার বাগানে ২০০ থেকে ২৫০টি আঙ্গুরের গাছ রয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে বাগানের প্রায় ৪০টি গাছে আঙ্গুর এসেছে। ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য মানুষ আঙ্গুর বাগান দেখতে ভিড় করছেন। বাগানে আঙ্গুর ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের প্রায় দুই শতাধিক ফলের গাছ রয়েছে। হাসেম আলীর আঙ্গুর বাগানের সফলতা দেখে অনেকেই তার কাছ থেকে ৩০ থেকে ৪০ জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন।

কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী বলেন, কীভাবে আঙ্গুরের চাষাবাদ করে সেটি ইউটিউবে দেখে আমার বন্ধু ও ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিন সহযোগিতা করেন। দুই বছর আগে তার মাধ্যমেই রাশিয়া ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাইকুনর, গ্রীনলং, একেলো, এনজেলিকাসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির উন্নত জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে দুই বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করি। তবে আঙ্গুরের বাগান দেওয়ায় এলাকার মানুষজন হাসি-তামাশা করতো। কোনোভাবেই এই মাটিতে আঙ্গুরের চাষ হবে না। তবে কখনও হতাশ হয়নি। আমার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছি। 

গত বছর কয়েকটি গাছে ফলন আশায় আমার কাছে কিছুটা বিশ্বাস এসেছে, যে আমার স্বপ্ন পুরণ হতে চলছে। আল্লাহের অশেষ রহমতে এ বছর প্রায় ৪০টি গাছে থোঁকায় থোঁকায় আঙ্গুর ধরেছে। আমিও কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছি না যে এভাবে গাছে গাছে ফলন আসবে। সব বাঁধা পেরিয়ে ৩০০ টাকা কেজি করে দেড় মণ আঙ্গুর বিক্রি করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে আরও দেড় মণ আঙ্গুর বিক্রি করতে পারব। 

এ পর্যন্ত আঙ্গুর চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। দেড় মণ আঙ্গুর ও বিভিন্ন জাতের চারা বিক্রি করে এ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা এসেছে। প্রতিদিন শত শত আঙ্গুরের চারা ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পিস বিক্রি করেছি।

আরো পড়ুন: এখনো জমেনি কানসাটের আম বাজার

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী আবাদি জমিতে আঙ্গুরের চাষ করে ফুলবাড়ীসহ কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। আবাদি জমি হলেও বেলে-দোঁয়াশ মাটি হওয়ায় আঙ্গুরের ফলন ও খেতে সুস্বাদু হয়েছে। এই প্রথম উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষ করায় অনেকেই দেখার জন্য ছুটছেন হাসেম আলীর বাগানে। অনেকেই তার কাছে বিভিন্ন জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে হাসেম আলীসহ যারা আঙ্গুরের চাষ করেছেন তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। 

এম/

 

Important Urgent

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন