বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সরকারে থাকা ‘দলীয় উপদেষ্টা’ আসলে কারা *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোটের দাবি জামায়াতের *** পুলিশের বলা ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ নিয়ে প্রশ্ন জোবায়েদের শিক্ষকের *** দেশের সব ভূমি অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ *** ‘উপদেষ্টা পরিষদে শুদ্ধি অভিযান জরুরি’ *** বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর: নাহিদ *** শুক্র ও শনিবার বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে *** সেন্ট মার্টিন নিয়ে ১২ নির্দেশনা সরকারের, প্রজ্ঞাপন জারি *** সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা *** ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত উপদেষ্টাদের জেলে যেতে হতে পারে’

তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ

আইনজীবীদের হট্টগোল, এজলাস ছাড়লেন ২ বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪২ অপরাহ্ন, ২৮শে আগস্ট ২০২৩

#

প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের বৈধতা নিয়ে ৮ বছরের পুরোনো একটি রুল শুনানির সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের উত্তপ্ত কথোপকথন ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে।

বিশৃঙ্খলার মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের ২ বিচারপতি এজলাস কক্ষ ছেড়ে চলে যান।

এর আগে আজ সোমবার বিচারপতি মো. খায়রুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সময়ের সব বক্তব্য সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন।

সে সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, তারা বিচারপতি মো. খায়রুজ্জামানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন, তাই তিনি শুনানি করতে পারবেন না। তারা 'সেইম সেইম' বলে চিৎকার করেন।

আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের হট্টগোলের প্রতিবাদ করলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরীন সিদ্দিকা লিনা হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেছিলেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আদালত রুল দেন—তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না?

সরকার ও গণমাধ্যমের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে তারেক রহমান যতদিন পলাতক থাকবেন ততদিন তার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত।

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন। অন্যদিকে এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. বদরুদ্দোজা বাদল, মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, কায়সার কামাল ও গাজী কামরুল ইসলামসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ ছিলেন তারেক রহমানের পক্ষে।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, 'এটা কোনো অবস্থাতেই শোভন না। এটা সম্পূর্ণ আদালত অবমাননার সামিল। আজকে আদালতে তারা যে কাজটা করেছে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক। কজলিস্ট ছুড়ে মেরেছে আদালতের দিকে। এত উশৃঙ্খল আচরণ আদালতে করেছে যার ফলে বিচারপতি নেমে গেছেন এজলাস থেকে কিছু ক্ষণের জন্য। এটা সম্পূর্ণ আদালত অবমাননার সামিল।'

আই. কে. জে/

আইনজীবীদের হট্টগোল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250