ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত মঙ্গলবার চীন এবং মেক্সিকোর ১৭ জন ব্যক্তি এবং সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের ফেন্টানাইল ওষুধ উৎপাদনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। বাইডেন প্রশাসন প্রথম থেকেই বিপদজনক ওষুধের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায় যে, চীনে অবস্থিত সাতটি সংস্থা এবং ছয়জন ব্যক্তির পাশাপাশি মেক্সিকোতে অবস্থিত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং তিনজনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তারা ওষুধ তৈরির মেশিন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রির সাথে জড়িত ছিল, যা দ্বারা নকল ওষুধ এবং ফেন্টানাইলযুক্ত ওষুধ তৈরি করা হচ্ছিল।
এসব তারা এসব ওষুধ উৎপাদনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে এবং সারাদেশে ফেন্টানাইলের বিষ ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
ফেন্টানাইলযুক্ত এসব ওষুধ আমেরিকার অসংখ্য নাগরিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আর তাই এই মারাত্মক ওষুধের উৎপাদনকে আটকাতে এবং এই ওষুধ দ্বারা সৃষ্ট হুমকিকে মোকাবেলা করতে অবৈধ ওষুধ উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে যেকোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
এই মাসে প্রকাশিত ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিন্থেটিক ওপিওড ফেন্টানাইলের সাথে জড়িত ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রায় মৃত্যুর হার তিনগুণেরও বেশি।
ফেন্টানাইল হেরোইনের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী এবং মরফিনের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। এ উপাদানকে অবৈধভাবে বিভিন্ন ওষুধে মেশানো হচ্ছে।
সরকারী তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে মার্কিন ড্রাগ-সম্পর্কিত ওভারডোজের কারণে মৃত্যু ১ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ায় বাইডেন প্রশাসন এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে চীনের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া হলেও চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করতে অনিচ্ছুক।
চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ এটিকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের আইনগত অধিকার এবং স্বার্থের একটি গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।