মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বসতঘরে হামলার নিন্দা, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি *** থাই রাজার সন্ন্যাসী পুত্রের আবেগঘন বার্তা কীসের ইঙ্গিত *** ব্রাজিলকে শিরোপা জেতানো কোচকে নিয়োগ দিল বসুন্ধরা *** বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধান উপদেষ্টাকে সৌদি আরবের আমন্ত্রণ *** বাংলাদেশসহ ৯৮ দেশে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে, সক্রিয় করবেন যেভাবে *** ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাঝে ফায়ার অ্যালার্ম, তদন্তে ৫ সদস্যর কমিটি *** ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাঝে ফায়ার অ্যালার্ম, তদন্তে ৫ সদস্যর কমিটি *** ৩রা আগস্ট খুলছে মাইলস্টোনের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাস *** মাঝ আকাশ থেকে ফেরত এলো বিমানের ঢাকা-দাম্মাম ফ্লাইট

অতি মূল্যবান ও পবিত্র হাজরে আসওয়াদ

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১০ পূর্বাহ্ন, ১৬ই জুন ২০২৩

#

পবিত্র হাজরে আসওয়াদ - ছবি: সংগৃহীত

কাবা শরিফের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে লাগানো কালো পাথরটিই হাজরে আসওয়াদ। মুসলমানদের কাছে এই পাথর অতি মূল্যবান ও পবিত্র। তাদের কাছে এটি বেহেশতি পাথর। এতে চুমু দেওয়ার ফজিলতও বেশি।

হাজরে আসওয়াদ তাওয়াফ (কাবা শরিফ সাতবার চক্কর দেওয়া) শুরুর স্থান। প্রতিবার চক্কর দেওয়ার সময় এই হাজরে আসওয়াদে চুমু দিতে হয়। ভিড়ের কারণে না পারলে চুমুর ইশারা করলেও চলে। এটিই নিয়ম।

হাজরে আসওয়াদের কাছে খুব ভিড় থাকে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের লোকজন চুমু দেওয়াকে অবশ্য-কর্তব্য মনে করে ভিড়ে কষ্ট পান। এই পাথরকে চুমু দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য স্বীকার। চুমু খাওয়া সুন্নত। তবে চুমু দিতে গিয়ে কাউকে কষ্ট দেওয়া শরিয়ত বিরোধী।

"হাজরে আসওয়াদ" শব্দের আভিধানিক অর্থ "কালো পাথর"। যদিও বহুসংখ্যক হাদিস ও ইসলামের ইতিহাসে "হাজরে আসওয়াদের রং সাদা" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো কোনো কিতাবে আছে, পাথরটি "রুপার মতো সাদা"। প্রচলিত আছে, আদম সন্তানের গুনাহ জমা হতে হতে আস্তে আস্তে এই পাথর কালো হয়ে উঠেছে।

হাজরে আসওয়াদ কাবা শরিফের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মাতাফ (তাওয়াফের জায়গা) থেকে দেড় মিটার ওপরে লাগানো। এখন আমরা যে হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেই বা স্পর্শ করি, তা আগের পাথর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আগে এটি ছিল আস্ত একটা পাথর। হজরত আবদুল্লাহ বিন জোবায়েরের শাসনামলে কাবা শরিফে আগুন লাগলে কয়েক টুকরো হয়ে যায় হাজরে আসওয়াদ। আবদুল্লাহ বিন জোবায়ের পরে ভাঙা টুকরোগুলো রুপার ফ্রেমে বাঁধিয়ে দেন। ফ্রেম সংস্করণের সময় চুনার ভেতরে কয়েকটি টুকরা ঢুকে যায়।

বর্তমানে হাজরে আসওয়াদের আটটি টুকরো দেখা যায়, বাকিগুলো দেখা যায় না। প্রতিটি টুকরোর আকৃতি বিভিন্ন। বড় টুকরোটি খেজুরের সমান। সর্বদা এর ওপর আতর ও সুগন্ধি মাখার কারণে কালো রং আরও বেড়ে গেছে। ফ্রেমের মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে পাথরে চুমু দিতে হয়। মুখ না ঢোকালে চুমু দেওয়া সম্ভব নয়। আর মুখ ঢোকাতে গিয়ে সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড ভিড়। ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।

আরো পড়ুন: রিয়াজুল জান্নাহ: যে স্থানকে জান্নাতের বাগান বলেছেন রাসুলুল্লাহ (স.)

হাজরে আসওয়াদের পাশে সৌদি পুলিশ দাঁড়ানো থাকে ২৪ ঘণ্টা। মাথা ঢোকাতে বা চুমু দিতে গিয়ে কেউ যেন কষ্ট না পান সে দিকে তাঁরা খেয়াল রাখেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও চুমু দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করেন। ফরজ নামাজ চলাকালীন কেউ চুমু দিতে পারে না। তবে ইমাম যখন নামাজের সালাম ফেরান, অমনি অপেক্ষমাণ মুসলমানেরা পাথরের দিকে ছুটে যান।

এম এইচ ডি/

মুসলমান হাজরে আসওয়াদ কাবা শরিফ তাওয়াফ বেহেশতি পাথর বাংলাদেশ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন