সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আন্তর্জাতিক ‘হস্তক্ষেপ’ চায় পাকিস্তান *** এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল *** ইউনূসকে লেখা চিঠিতে যা বলেছেন টিউলিপ *** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের

‘বইমেলা আমাদের আবেগের জায়গা’

বিশেষ প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৭:০৭ অপরাহ্ন, ২৭শে জানুয়ারী ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক তুষার দাশ। যার কবিতার বইয়ের মলাট থেকেই পাঠকের শুরু হয়ে যায় বইটির মধ্যে প্রবেশ করা। কবিতার বইয়ের মলাটে নামটি দেখামাত্র পাঠক বুঝতে পারেন, এই কবির বসবাস এমন কবিতার জগতে, যেখানে তার সমসাময়িক কালের খুব কম কবিরই বসতঘর আছে। প্রথাগত রীতির বাইরে এসে যে কয়েকজন কবি কবিতা-নির্মাণ করছেন, তাদের মধ্যে তুষার দাশ নিঃসন্দেহে অন্যতম (জন্ম- ১৩ই নভেম্বর, ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দ)। তার কবিতায় নতুন স্বর দুই বাংলার পাঠকের কাছে প্রতিষ্ঠিত।

তুষার দাশ নিজত্ব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। কবিতার বৈশিষ্ট্য, মনন ও মেজাজে তিনি স্বতন্ত্রধারার কবি। কবিতায় তিনি বহুমুখী-পন্থা প্রয়োগ করেছেন। এর অনেক উপাদান তার নিজস্ব। তার নিজস্ব ও শক্তিশালী দিকগুলোই তার কবিতাকে কালোত্তীর্ণ করবে। অমর একুশের বইমেলাকে সামনে রেখে পাঠকনন্দিত এই কবির মুখোমুখি হয়েছিল সুখবর ডটকম। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুখবরের বিশেষ প্রতিবেদক

চল্লিশ বছর ধরে দেশে ও দেশের বাইরে নানা পত্রিকায় লেখেন তুষার দাশ। আসন্ন একুশের বইমেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বইমেলা আমাদের আবেগের জায়গা। জাতীয়ভাবেও। এবারের বইমেলাও সর্বাঙ্গ সুন্দর ও সফল হোক। এটাই চাই। পাঠক বই কেনেন, প্রকাশক বিক্রি করেন, লেখকরা আড্ডা দিয়ে খুশি। সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয় সবার। এই আনন্দই বইমেলার বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘এবারের একুশে বই মেলা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। বাংলা একাডেমি তাদের কাজ ঠিকঠাক করবে, শুধু এটুকুই প্রত্যাশা। আমি পরামর্শ দেওয়ার লায়েক নই। মেলা তো মেলার মতোই চলে।’

কর্মজীবনে বিচিত্র পেশায় নিয়োজিত থেকেছেন তুষার দাশ। লাইব্রেরির বইয়ের তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে পত্রিকায় প্রুফ রিডিং, সম্পাদনা ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা গড়ে তোলার কাজ করেছেন তিনি। ঢাকার বাইরে বাংলা একাডেমি বইমেলার আয়োজন করতে পারে কী না, এক্ষেত্রে কী কী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, এমন জিজ্ঞাসার উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওটা বাংলা একাডেমির কাজ নয়। এজন্যে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আছে।’

কবি তুষার দাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের কৃতি ছাত্র হিসেবে অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি লাভ করেন। তিনি ‘অধুনা’ পত্রিকায় কবি শামসুর রাহমানের সম্পাদনা সহকারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে কবির ঘনিষ্ঠ সাহচর্য লাভ করেন। তিনি জানান, ‘এবারের বই মেলায় আমার নতুন কোনো ধরনের বই আসছে না।’

শান্তনু/কেবি

অমর একুশে বইমেলা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন