বৃহস্পতিবার, ১২ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হেঁটেই অ্যাম্বুলেন্সে উঠলেন বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের যাত্রী, অবিশ্বাস্য ভিডিও ভাইরাল *** ভারতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: একমাত্র জীবিত ১১ নম্বর সিটের যাত্রী! *** বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজ *** ওই উড়োজাহাজের যাত্রীর তালিকায় গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি? *** বিমানটির ওই ফ্লাইটে ১৬৯ ভারতীয় ও ৫৩ ব্রিটিশসহ যারা ছিলেন *** ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের যা ঘটল ভারতে *** মাত্র ৬২৫ ফুট উঠেছিল ভারতীয় বিমানটি, রাডারে যা ধরা পড়ল *** এখনই হচ্ছে না শাহরুখ-সালমানের ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ *** কমেছে দূষণ, ঢাকার বাতাস এখন সহনীয় *** সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের শতকোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ ব্রিটেনে

বরই চাষে দুই বন্ধুর সাফল্য

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, ১৯শে মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বলসুন্দরী, ভারতসুন্দরী এবং টক বরই চাষ করে প্রথম বছরেই সাফল্য পেয়েছেন দুই বন্ধু। অদম্য ইচ্ছা ও মনোবল নিয়ে বাগান শুরু করে আজ তারা স্বাবলম্বী। দুই বন্ধুর এ সফলতায় অনেকেই বরই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।তারা হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের শংকরদী এলাকার সফিকুল ইসলাম (২৭) ও মেহেদী হাসান (২৮)। 

জানা যায়, শংকরদী এলাকার সফিকুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান বার্ষিক চুক্তিতে বরই বাগান শুরু করেন। প্রথমে নিজেদের ও অন্যের জমি লিজ নিয়ে ৫ বিঘা জমিতে বরই চাষ শুরু করেন। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর বরই ধরে। প্রথম বছরই তারা লাভবান হন।

এরপর তারা ৭ একর জমি বাড়িয়ে মোট ১২ একর জমিতে বরই চাষ করেন। এরই মধ্যে বাগানের গাছ থেকে বরই তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। ৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। উদ্যোক্তারা আশা করছেন, চলতি মৌসুমে ৬০০ মণ বরই বিক্রি করবেন।

উদ্যোক্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই বন্ধু মিলে কিছু করবো, এমন চিন্তায় ১২ বিঘা জমির ওপর বরই বাগান গড়েছি। চাষাবাদে জৈব সার ও মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। যে কারণে ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। এখানে ২ জন শ্রমিক স্থায়ীভাবে এবং অস্থায়ীভাবে মজুরিতে আরও ৪-৫ জন কাজ করছেন। এ বছর বরই বিক্রি করে ৮-১০ লাখ টাকা লাভের আশা করছি। এরপর কৃষি জমিতে বাগান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।’

আরো পড়ুনরাজবাড়ীর পান রপ্তানি হচ্ছে তিন দেশে

উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি ঘরে বসে না থেকে বাগান করেন, তবে তারাও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আমি প্রবাসে ছিলাম। দেশে আসার আগেই বন্ধুর সঙ্গে বরই বাগান করার পরিকল্পনা করি। দেশে এসে বাগান করে সফলতা পেয়েছি। এমনকি আমাদের দেখাদেখি অনেকেই বরই বাগান শুরু করেছেন। আমাদের কাছে এলে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি।’

মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বরই বাগানের উদ্যোক্তা দুই বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা উদ্যোক্তাদের মাঠ পর্যায়ে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি। জানতে পেরেছি, তারা বরই বিক্রি করে এক মৌসুমেই অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আশা করছি, তাদের দেখে অন্যরাও বরই চাষে এগিয়ে আসবেন।’

এসি/ আই.কে.জে/

সাফল্য বরই চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন