ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য (এমপি) পদপ্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিকে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
গতকাল শুক্রবার (৩রা অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের জামায়াতের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ওই বড়উঠান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সায়েদ আল মাহমুদকে নিয়ে তার নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।
সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হয় এবং গণসংযোগের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী লীগের নেতাদের ফেরাতে জামায়াত ইসলামী মাঠে নেমেছে। এনসিপির নেতাদেরও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নেতা সায়েদ আল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করতে সম্প্রতি কর্ণফুলী থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মাহমুদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গ্রেপ্তার আটকায় তার ভাতিজা স্থানীয় জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়া শেষে গতকাল আবদুল আউয়াল চৌধুরী পাড়া, কাজী বাড়িসহ কয়েকটি পাড়াতে গণসংযোগ করেন বলেও নিশ্চিত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক লেখা শেয়ার করা ও ক্ষমতায় থাকাকালীন অবাধ ক্ষমতা চর্চার অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা সায়েদ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে।
খবরটি শেয়ার করুন