চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: সংগৃহীত
তিব্বতে বিরল সফর করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। অঞ্চলটিতে চীনা শাসন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সফর করলেন তিনি। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল বুধবার (২০শে আগস্ট) আঞ্চলিক রাজধানী লাসায় পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে প্রায় ২০ হাজার কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।
সিনহুয়া জানিয়েছে, লাসায় সি চিন পিং একটি ‘আধুনিক সমাজতান্ত্রিক’ তিব্বত গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যা ‘একতাবদ্ধ, সমৃদ্ধ, সভ্য, সুসম্পন্ন এবং সুন্দর’ হবে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, সি ‘তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মকে সমাজতান্ত্রিক সমাজের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে’ নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। চীন দাবি করে আসছে যে, তিব্বত বহু শতাব্দী ধরে তাদের ভূখণ্ডের অংশ, তবে অনেক তিব্বতির মতে তারা বেশির ভাগ সময়ই তাদের নিজস্ব বৌদ্ধ ধর্মতান্ত্রিক শাসনের অধীনে মূলত স্বাধীন ছিলেন।
১৯৫১ সালে চীনের কমিউনিস্ট বাহিনী তিব্বত দখল করে। পরে ১৯৬৫ সালে মাও সে-তুংয়ের শাসনামলে অঞ্চলটিকে ‘তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল’ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই সেখানে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে হান চীনা জনগোষ্ঠীর ব্যাপক বসতি স্থাপনের কারণে তিব্বতের নিজস্ব জনসংখ্যার ওপর চাপ বেড়েছে। অঞ্চলটি সাধারণত সাংবাদিক ও বিদেশিদের জন্যও প্রায় সব সময় বন্ধ থাকে।
এদিকে, দালাই লামার উত্তরসূরি নির্ধারণের অধিকার নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে চীন। তিব্বতি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা ১৯৫৯ সালে চীনা শাসন থেকে পালিয়ে ভারতে নির্বাসনে যান। সেখানেই তিনি এখনো বসবাস করছেন। সম্প্রতি তার বয়স ৯০ বছর পূর্ণ হয়েছে।
খবরটি শেয়ার করুন