রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের *** কিরগিজস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেকে সরানো হলো লেনিনের ভাস্কর্য *** নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টির’ ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্ক *** নেইমারের বিয়ে নিয়ে রহস্যময় মন্তব্য আলোচিত সেই প্রেমিকার

এশিয়ায় অস্ত্র ও নিরাপত্তা গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৬ অপরাহ্ন, ২৮শে মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ার কিছু দেশে অস্ত্র ও নিরাপত্তা গবেষণায় ব্যয় বাড়ছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশগুলো বাইরের দেশগুলোর প্রতিরক্ষা শিল্পে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে নিজেদের প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলতে চাইছে। এক নতুন গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) গতকাল মঙ্গলবার (২৭শে মে) প্রকাশিত বার্ষিক এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা মূল্যায়নে বলা হয়, এসব দেশের স্বনির্ভরতার লক্ষ্য থাকলেও বাইরের শিল্প সহায়তা এখনো গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সংঘাত, আমেরিকা-চীনের কৌশলগত প্রতিযোগিতায় অবনতি এবং এশিয়া-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি প্রতিরক্ষা-শিল্প অংশীদারত্ব বাড়াতে পারে।’ উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তার বর্তমান গতিশীলতা সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তৈরি করছে।

২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ ও গবেষণা-উন্নয়নে ব্যয় ২৭০ কোটি ডলার বেড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান দেশ—ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ ব্যয় এখন ১ হাজার ৫০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালে এ দেশগুলো গড়ে জিডিপির দেড় শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করেছে। গত এক দশকে এ হার তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল।

সিঙ্গাপুরে এ সপ্তাহের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক শাংগ্রি-লা ডায়ালগ প্রতিরক্ষা বৈঠকের আগে প্রকাশিত এ গবেষণায় বলা হয়, এশিয়া-প্যাসিফিকের দেশগুলো এখনো গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির ওপর নির্ভরশীল। এসব সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে—সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য উন্নত ইলেকট্রনিকস।

সিঙ্গাপুরের এ অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিশ্বের প্রতিরক্ষা ও সামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। ইউক্রেন সংঘাত, ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা নীতি, তাইওয়ান এবং বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উত্তেজনা এ বৈঠকে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গবেষণায় বলা হয়, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রমশ সক্রিয় হচ্ছে। ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো প্রযুক্তি হস্তান্তর, যৌথ উদ্যোগ ও লাইসেন্সড সমাবেশ চুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত চীনের নরিনকো অস্ত্র কোম্পানি ও ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্সের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বৈচিত্র্যময় সহযোগিতা গড়ে তুলেছে।

গবেষণায় বলা হয়, যৌথ উন্নয়ন কার্যক্রম সবসময় সহজ নয়। ভারত ও রাশিয়ার দুই দশকের সহযোগিতায় ব্রহ্মস সুপারসনিক অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উদাহরণ দেওয়া যায়। ভারত এ অস্ত্র নিজ প্রতিরক্ষায় মোতায়েন করলেও রপ্তানিতে স্পষ্ট কৌশলের অভাবে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৪ সালে ফিলিপাইনের কাছে প্রথম তৃতীয় পক্ষের গ্রাহক হিসেবে সরবরাহ শুরু করে ভারত।

রাশিয়া-চীন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এ অস্ত্রের উন্নয়ন আরও জটিল হতে পারে। বিশেষ করে মস্কো যদি বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় এবং ক্ষেপণাস্ত্রের হাইপারসনিক সংস্করণ তৈরি করে।

এইচ.এস/

এশিয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন