ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২২শে মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে অনেকই অনেক কথা লিখছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে সন্ধ্যায় যমুনায় যান নাহিদ ইসলাম।
সূত্রটি বলছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, সাক্ষাতে নাহিদ ইসলাম তাদের কোনো ধরনের ভুলত্রুটি থাকলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তি আপনার সাথে রয়েছে।’
যে কোনো পরিস্থিতিতে সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তার পাশাপাশি তার পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে একটি গুঞ্জন জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এতে দাবি করা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন। এ দাবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিঠি এবং ২০১১ সালের একটি সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এ দুটিই সঠিক নয়; উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।
এর মধ্যে ২০১১ সালের ১৩ই মে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘Prof Yunus resigns’। এতে বলা হয়, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সেই পুরনো প্রতিবেদনটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে—তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন—এমন ইঙ্গিতসহ আবার শেয়ার করা হচ্ছে।
তবে ডেইলি স্টার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার—একটি পুরনো প্রতিবেদনকে পুনরায় পোস্ট করে তা মিথ্যা প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন