সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আন্তর্জাতিক ‘হস্তক্ষেপ’ চায় পাকিস্তান *** এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল *** ইউনূসকে লেখা চিঠিতে যা বলেছেন টিউলিপ *** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের

দেশে টিকাদানে বড় অগ্রগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:১৬ অপরাহ্ন, ২৯শে এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

শিশুদের টিকা দেওয়ার হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে এখনো উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়ে গেছে, প্রায় পাঁচ লাখ শিশুর অবস্থা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে সোমবার (২৮শে এপ্রিল) এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি) এ বিষয়ে সতর্ক করেছে।

শিশুদের টিকাদানে ঘাটতি পূরণে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এ তিন সংস্থা। একই সঙ্গে টিকা দিয়ে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলো থেকে প্রতিটি শিশুকে সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর ও আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও ৪ লাখের মতো শিশু ঠিকমতো সব টিকা পায়নি এবং ৭০ হাজার (১ দশমিক ৫ শতাংশ) শিশু একেবারেই টিকা পায়নি। শহরাঞ্চলগুলোতে টিকা না পাওয়ার হার বেশি—মাত্র ৭৯ শতাংশ পুরোপুরি টিকা পেয়েছে, ২ দশমিক ৪ শতাংশ এক ডোজ টিকাও পায়নি এবং ৯ দশমিক ৮ শতাংশ শিশু টিকার সব ডোজ ঠিকমতো পায়নি; সেই তুলনায় গ্রামাঞ্চলগুলোতে ৮৫ শতাংশ শিশু টিকার সব ডোজ পেয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি (ওআইসি) স্ট্যানলি গোয়াভুয়া বলেছেন, ‘১৯৭৯ সালে ইপিআই চালু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে—‍সব ডোজ টিকা গ্রহণের হার মাত্র ২ শতাংশ থেকে ৮১ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ সফলতা সরকারের জোরালো প্রতিশ্রুতি এবং অংশীজন, এনজিও ও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে।'

তিনি বলেন, 'চূড়ান্ত সফলতার জন্য শেষের পথটুকু পাড়ি দেওয়া সবচেয়ে কঠিন। প্রতিটি শিশু ও নারীর কাছে পৌঁছানোর জন্য, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকা ও শহরের দরিদ্র এলাকাগুলোতে, দরকার আবারও জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ, জোরালো প্রচেষ্টা এবং বাড়তি বিনিয়োগ।’

টিকা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যে বাস্তব প্রভাব দেখা গেছে ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, সেটা ধরে রাখতে চাইলে টিকাদানে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করেছেন গ্যাভির আঞ্চলিক প্রধান স্যাম মুলের।

এইচ.এস/



টিকাদান কর্মসূচি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন