সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইরানের ৬ বিমানবন্দরে হামলার দাবি ইসরায়েলের *** এচেভেরির গোল উদযাপন মনে করিয়ে দিল মেসিকে *** আমেরিকার হামলার ‘কঠিন জবাব’ দেবে ইরান: সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক *** হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকি ইরানের, চীনের হস্তক্ষেপ চাইল আমেরিকা *** ‘ট্রাম্পের চেয়ে নোংরা কেউ নেই’, প্রতিশোধের দাবিতে উত্তাল তেহরান *** যুদ্ধের মধ্যেই ইরানে চলছে পবিত্র মহররমের প্রস্তুতি *** হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ *** ঢাকাসহ সারাদেশে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা *** ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন *** সাবেক সিইসির সঙ্গে আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গরমে দইয়ের উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:২১ অপরাহ্ন, ৬ই মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

দই হল এক ধরনের দুগ্ধজাত খাবার, যা দুধের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে সারা পৃথিবীতে এটি বেশ জনপ্রিয়। দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ। গরমের দিনে পেট ঠাণ্ডা রাখার সহজ খাবার হলো দই। 

দই শুধু মজার খাবারই নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত এ পদ নিয়মিত রাখলে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাওয়া যাবে। তাই নিয়মত দই খেতে পারেন। দই-ভাত পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের মতো সমস্যা দূর করতে পারে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে ওই সমস্ত পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক শরীরের রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। দইয়ে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে, সংক্রমণ থেকে ভাইরাল ফিবার, কোনো কিছুই ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত হয়।

দইয়ে রয়েছে প্রোটিন। যা পেশির গঠন ভালো রাখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পেশি মেরামতেও সাহায্য করে। দইয়ে প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্কের মতো উপকারী উপাদান।

দই-ভাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম। যা থেকে ওজন বাড়াসহ আরও নানা সমস্যা হতে পারে।

ক্যালোরি কম থাকায় ওজন কমানোর জন্যও এ খাবার উপযুক্ত। তবে চিনি বাদ দিলেই ভালো। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দই খাওয়ার পর আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ (অ্যাংজাইটি) কমতে শুরু করে।

দুধের মতো দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম। এই দুই উপাদান দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বুড়ো বয়সে গিয়ে যদি অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে এখন থেকেই নিয়মিত দই খাওয়া শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন উপকার মিলবেই মিলবে।

এইচ.এস/

দই

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন