শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট

মাছ-মাংস খাওয়া কমেছে, বেড়েছে ভাত খাওয়া

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১৩ অপরাহ্ন, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪

#

প্রতীকী ছবি

উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে গ্রাম এলাকার মানুষের খাদ্যের ধরনে পরিবর্তন হয়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষেরা মাছ-মাংসের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়েছেন। এর বিপরীতে তারা ভাতের মতো শর্করাজাতীয় খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়েছেন।

বিআইডিএসের বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিআইডিএসের গবেষকেরা। 

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য টেনে বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, একটা দাবি ছিল যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে। কিন্তু আমরা দেশের ৬৪ জেলায় জরিপ করে পেয়েছি, তখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশের বেশি ছিল। এর প্রধান ভুক্তভোগী গ্রাম এলাকার দরিদ্র মানুষেরা। তারা মাছ-মাংসসহ প্রয়োজনীয় প্রোটিন খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত বছরের অক্টোবর–ডিসেম্বর তিন মাসে দেশের ৬৪টি জেলার ৬৪টি গ্রামের ৩ হাজার ৮৮৭টি পরিবারের ওপর জরিপ চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে বিআইডিএস। জরিপে মোট ১১ ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম হিসাব করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ২০২২ সালের অক্টোবর–ডিসেম্বর প্রান্তিকের চেয়ে ২০২৩ সালের একই সময়ে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে। 

বিআইডিএসের গবেষণা সহযোগী রিজওয়ানা ইসলাম জানান, উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে গ্রাম এলাকার দরিদ্র মানুষেরা তাদের খাদ্যের ধরন পাল্টেছেন। তারা মাছ-মাংসের মতো অধিকাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ কমিয়েছেন। যেমন আগে গ্রামের অনেকে রুই-কাতলার মতো মাছ খেলেও এখন তারা তেলাপিয়া ও পাঙাশের মতো কম দামের মাছ কিনছেন। আবার গরু বা খাসির মাংস খাওয়া কমিয়ে ফার্মের মুরগি ও ডিম খাওয়া বাড়িয়েছেন। তবে এ সময় মাছ-মাংস খাওয়া কমলেও বেড়েছে ভাত খাওয়ার পরিমাণ। 

বিআইডিএসের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে গ্রামের মানুষ দৈনিক মাথাপিছু ৩৪৯ গ্রাম ভাত গ্রহণ করলেও তা পরের বছর বেড়ে ৩৯৪ গ্রাম হয়েছে। অন্যদিকে ২০২২ সালে যেখানে দৈনিক মাথাপিছু ১০ গ্রাম গরুর মাংস খেতেন, সেখানে গত বছর তা কমে ৪ গ্রামে নেমেছে। এই সময়ে মাথাপিছু দৈনিক ফল খাওয়ার পরিমাণ ৯১ গ্রাম থেকে কমে ২৬ গ্রাম হয়েছে। 

ওআ/কেবি

ভাত

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন