ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপালগঞ্জে নিহত চারজনের দাফন ও শেষকৃত্য সম্পন্নের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির নেতারা বলেছেন, এ সরকারের সময় গুলি করে মানুষ হত্যার মতো ঘটনা কেউ প্রত্যাশা করেনি, অথচ তা ঘটেছে। এমনকি নিহতদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই কবর দেওয়া ও সৎকারের মতো অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনা শুধু আইনশৃঙ্খলার চরম লঙ্ঘনই নয়, বরং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকারেরও মারাত্মক অবনতি।
জুলাই অভ্যুত্থানে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা কমিটির সদস্য শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন সিপিবির নেতারা। শুক্রবার (১৮ই জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা।
সমাবেশে নেতারা গোপালগঞ্জের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নাগরিকদের সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান। সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সভা পরিচালনা করেন সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না। এটা ছিল এক যুগের বেশি সময় ধরে স্বৈরাচারবিরোধী, কর্তৃত্ববাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিক ফলাফল। এই অভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন