ছবি: সংগৃহীত
নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের তুলনায় বেড়েছে বলে মনে করেন দেশের বেশিরভাগ মানুষ। গত বছরের নভেম্বরে ‘ভয়েস অব আমেরিকা, বাংলা’এমন এক জরিপ প্রকাশ করে। এমন নানা সংবাদ ও জরিপের উৎস ‘ভয়েস অব আমেরিক’ এবার নীরব হয়ে যাচ্ছে।
জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য এ সংবাদমাধ্যমের ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মীকে শনিবার (১৫ই মার্চ) থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আমেরিকার আরও দুটি সংবাদমাধ্যমের তহবিলও বাতিল করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ১৬ই মার্চের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারি তহবিলে পরিচালিত ভয়েস অব আমেরিকার মূল প্রতিষ্ঠান এবং আরও ছয়টি ফেডারেল সংস্থাকে কর্মী হ্রাস করার নির্দেশ দেন।
ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিচস রয়টার্সকে বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১ হাজার ৩০০ সাংবাদিক, প্রযোজক ও সহযোগীদের প্রায় সবাইকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫০টি ভাষায় পরিচালিত এই সম্প্রচার মাধ্যমকে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে এক পোস্টে আব্রামোভিচ লেখেন, ‘৮৩ বছরের মধ্যে প্রথমবার বহু ভাষাভাষীর ভয়েস অব আমেরিকা নীরব হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমি গভীরভাবে ব্যথিত। বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইয়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছিল।’
ভয়েস অব আমেরিকার মূল প্রতিষ্ঠান দ্য ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া (ইউএসএজিএম) তাদের আরও দুই সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি ও রেডিও ফ্রি এশিয়ার বরাদ্দও বাতিল করেছে। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে রেডিও ফ্রি ইউরোপ সম্প্রচারিত হয়। এ ছাড়া ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকেও এটি শোনা যায়। রেডিও ফ্রি এশিয়া চীন ও উত্তর কোরিয়ায় সম্প্রচারিত হয়।
ট্রাম্পের এই নির্দেশে জনপ্রিয় একটি সংবাদমাধ্যম ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোতেও ভয়েস অব আমেরিকা নির্ভরযোগ্য সংবাদের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়।
নাৎসি প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে ১৯৪২ সালে ভয়েস অব আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখনো এক সপ্তাহে ভয়েস অব আমেরিকার গ্রাহক বিশ্বের ৩৬ কোটি মানুষ।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন