সোমবার, ২০শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রথম আলোর আলোচনায় জুলাই সনদ *** আলোচনা-সমালোচনায় কবি-সাংবাদিক আলতাফ, সহকর্মীরা প্রতিবাদমুখর, সরব নারীনেত্রীরা *** জামায়াত সম্পর্কে কী এনসিপির নতুন উপলব্ধি *** খালেদা জিয়ার সংসদ নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার বিষয়ে যা জানাল বিএনপি *** একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক *** জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি *** আন্দোলনের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি রাজা নই’ *** পুঁজিবাজার চাঙা করতে আইসিবিকে ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা *** অগ্নিনির্বাপণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, দাবি উপদেষ্টার *** নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকেরা

মিষ্টির বাক্সের ওজন বেশি, অতঃপর টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামবাসীর...

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারে মিষ্টির বাক্সের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিরোধের জেরে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৮ই অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ি বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ই অক্টোবর বানিয়াচং উপজেলার সন্দলপুর গ্রামের আমির উদ্দিনের মালিকানাধীন ইমামবাড়ি বাজারের ‘ভাই ভাই হোটেল’ থেকে কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সাদমান আহমেদ ইমন মিষ্টি কেনেন। মিষ্টির বাক্সের অতিরিক্ত ওজন ধরা পড়লে ইমন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে হোটেল মালিক পক্ষ ও সাদমান আহমেদ ইমনের পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার সন্ধ্যার পর এই উত্তেজনা চূড়ান্ত রূপ নেয়। উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়, যার জেরে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বিদ্যুৎ না থাকায় ও চারদিকে অন্ধকার থাকায় সংঘাতকারীরা টর্চ জ্বালিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। খবর পেয়ে দ্রুত নবীগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গুরুতর আহত ব্যক্তিদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অন্যদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী এবং সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জে.এস/

হবিগঞ্জ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250