বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বলিউড অভিনেতা দীলিপ কুমার ও রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ি সংস্কার করছে পাকিস্তান *** আগামীকাল খসড়া সনদ রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়ার আশা করছি: আলী রীয়াজ *** নিউইয়র্কে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব অনুষ্ঠিত *** হিন্দুপল্লিতে হামলা: গ্রেপ্তার পাঁচজন কারাগারে, রিমান্ড শুনানি কাল *** সংসদ নির্বাচনে ৭ শতাংশ আসনে থাকবে নারী প্রার্থী, প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের *** ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: আবদুল আউয়াল মিন্টু *** ৩৯ সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন আসছে, খসড়া চূড়ান্ত *** ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বিশ্বকে দেখিয়েছে, ইরানের ভিত্তি কতটা মজবুত: খামেনি *** সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে ব্রিটেনও

হানিফ ফ্লাইওভারে জনদুর্ভোগ, বাড়াতে হবে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৫:২৪ অপরাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি - সংগৃহীত

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার ২০১৩ সালের অক্টোবরে চালু হয়েছে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলীয় ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রায় ৩০টি জেলার যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করে তোলার লক্ষ্যেই ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভারটি শনিরআখড়া থেকে যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান হয়ে চানখারপুল গিয়ে শেষ হয়েছে। শুরুর দিকে কেবল চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলীয় জেলার মানুষ ফ্লাইওভারটি দিয়ে যাতায়াত করলেও পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর খুলনা-বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহনগুলো ফ্লাইওভারটি ব্যবহার শুরু করে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইওভারে গাড়ির চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

প্রতিদিন শনিরআখড়া, ডেমরা, সায়েদাবাদ ও ধোলাইপাড় এই চারটি পয়েন্ট দিয়ে হাজার হাজার ঢাকামুখী যানবাহন প্রবেশ করে এই ফ্লাইওভারে। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলার পরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি শনিরআখড়া পয়েন্ট দিয়ে হানিফ ফ্লাইওভারে প্রবেশ করে। সিলেট ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জেলার পরিবহন ও যাত্রীরা ডেমরা টোল প্লাজা দিয়ে ফ্লাইওভারে প্রবেশ করে। বরিশাল ও খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ধোলাইপাড় পয়েন্ট দিয়ে ফ্লাইওভারে প্রবেশ করে। এছাড়া সায়েদাবাদ থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অঞ্চলের গাড়ি এই ফ্লাইওভারটি ব্যবহার করে ওঠানামা করছে।

ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখগুলোতে বাস-লেগুনা, অটো রিক্সা থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, যত্রতত্র দোকান বসানো ও যানবাহন পার্কিং, ট্রাফিক আইন না মানা, ট্রাফিক পুলিশের নিস্ক্রিয়তা ও ফ্লাইওভারের নিচে সংকীর্ণ সড়কের কারণে অসহনীয় যানজট তৈরি হচ্ছে।

মাত্র ১০ মিনিটে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার পাড়ি দেয়ার কথা থাকলেও সেটি এখন পার হতে সময় লাগছে প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এতে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা গাড়িগুলোকে ঢাকায় ঢুকতে অসহনীয় যানজটে পড়তে হচ্ছে। যানবাহনগুলো বের হওয়ার চিত্র খুবই নাজুক! প্রতি  ১০০টি গাড়ি যে সময়ে এই ফ্লাইওভারে প্রবেশ করে ঠিক একই সময়ে বের হতে পারে  তার অর্ধেক। সঙ্গত কারণেই ধীরে ধীরে তৈরি হয় তীব্র যানজট। যেটা অল্প সময়ে পুরো ফ্লাইওভারে ছড়িয়ে পড়ে। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।

হানিফ ফ্লাইওভারে সব সময় ঢাকামুখী অংশে যানজট লেগে থাকে। এর অন্যতম কারণ ফ্লাইওভার থেকে গাড়িগুলো বের হওয়ার প্রধান দুই পয়েন্ট—গুলিস্তান ও চানখারপুলের নাজুক চিত্র! মূলত এই দুটি টোল প্লাজা দিয়ে যাত্রীরা ঢাকায় প্রবেশ করেন। মাত্র দুই লেনের গুলিস্তান ও এক লেনের চানখারপুলের প্রবেশদ্বারে সব সময়ই যানবাহনের জটলা লেগে থাকে। যে কারণে টোল প্লাজার সামনে এসে পরিবহনগুলো ধীর গতিতে এগোতে থাকে।

গত ৫ আগস্টের পর ফ্লাইওভারে গাড়ি চলাচল হঠাৎ বেড়ে গেছে। এর অন্যতম কারণ হলো, আগে যেসব যানবাহনের ঢাকায় ঢোকার অনুমতি ছিল না, সেগুলোও এখন বিনা বাধায় ঢুকছে। ট্রাফিক পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারণে গাড়িগুলো যার যার ইচ্ছে মতো চলছে।

ফ্লাইওভারের জনদুর্ভোগ দূর করতে হলে প্রথমেই ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে। গাড়ির চাপ কমাতে নিচের সড়কগুলোর সংস্কার করতে হবে। তা না হলে স্বস্তির হানিফ ফ্লাইওভারে জনদুর্ভোগ আরো বাড়বে।

আই.কে.জে/


হানিফ ফ্লাইওভার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন