সোমবার, ২৮শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে জামিনে মুক্ত, মেয়েকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন সেই খালেদা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:২৭ অপরাহ্ন, ১৭ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

এনজিওর ঋণের দায়ে তিন বছরের শিশুকে রেখে কারাগার যাওয়া সেই মা খালেদা পারভিন অবশেষে মুক্ত হয়েছেন। মুক্তি পেয়েই আদরের শিশুকন্যা ফাতেমাকে বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ই এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের আমলি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান খালেদা।

এর আগে গত ১০ই এপ্রিল ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এনজিওর করা মামলায় খালোদাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে গ্রেফতারের সময় উল্লাপাড়া মডেল থানা চত্বরে তিন বছরের শিশুকন্যা ফাতেমাকে রেখে পুলিশ ভ্যানে ওঠার মুহূর্তে মা-মেয়ের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আর সেদিন সেই ছোট শিশুর কান্নাজড়িত মুখ হৃদয়ে দাগ কাটে সবার।

আরো পড়ুন: মেডিকেল কলেজ নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে চান বগুড়ার মিঠু

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ওই দিন রাতেই বিষয়টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত বহুজাতিক এক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের নজরে আসে। চট্টগ্রামের ওই শিল্পপ্রতিষ্ঠান কারাগারে বন্দি খালেদা ঋণ পরিশোধসহ আইনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।

পরদিন খালেদার সুদসহ ঋণের সব অর্থ পরিশোধ করা হয় ও আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ঈদের ছুটির কারণে আদালত বন্ধ থাকায় খালেদাকে জামিন করানো সম্ভব হয়নি। পরে মঙ্গলবার আদালত খুললে জামিনে মুক্ত হন খালেদা।

এই বিষয়ে খালেদার স্বামী ইব্রাহিম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উদ্দীপন’ নামের একটি সংস্থা থেকে দুই বছর আগে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তার স্ত্রী। সংসারের চরম দুর্দিন হওয়ায় খালেদাকে নিয়ে ৬ মাস হলো ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ নিয়েছিলাম।

ইব্রাহিম হোসেন আরও জানান, এর আগে বেশ কয়েকটি কিস্তিতে তিনি ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। সুদ-আসল মিলে ১৮ হাজার ৩০০ টাকা পেত উদ্দীপন। ঈদের আগের দিন রাতে সপরিবারে বাড়িতে ফিরলে উদ্দীপনের করা ঋণের মামলায় উল্লাপাড়া থানা পুলিশ গ্রেফতারে করে খালেদাকে। এসময় আমার ৩ বছরের মেয়ে ফাতেমার কান্না থামছিল না। মাকে না পেয়ে থানায় মধ্যে অঝোরে কাঁদছিলো ফাতেমা। পরে আদালত খালেদাকে কারাগারে পাঠান।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর আমাদের সব ঋণ পরিশোধ করেন দিয়েছেন একজন। সেই সঙ্গে মামলাটি প্রত্যাহারে সব ব্যবস্থা করেছেন। এখন আর কোনো ঋণ নেই আমাদের। আমাদের এই বিপদে যারা পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সবার জন্য আমার পরিবারে পক্ষ থেকে অনেক দোয়া রইলো বলেও জানান তিনি।

উদ্দীপন এনজিওর লিগ্যাল এডভাইজার অ্যাডভোকেট সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, সুদসহ ঋণের সব অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এজন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলাটি প্রত্যাহারের সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এইচআ/ 

ঋণ এনজিও শিশু কান্না

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন