বুধবার, ২২শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সালমান শাহর মৃত্যুর আগের দিন স্ত্রী সামিরার সঙ্গে কী ঘটেছিল *** অক্টোবরের ২০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৮ কোটি ডলার *** কাতারে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা না দেওয়ার প্রচারণা প্রসঙ্গে যা বলছে মন্ত্রণালয় *** ‘দলীয়’ উপদেষ্টাদের বিষয়ে ড. ইউনূসের কাছে যে দাবি জানিয়েছে বিএনপি *** ‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’ *** নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা *** ভারতীয় ঋণচুক্তির ১০ প্রকল্প বাতিলের তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** সালমান শাহ, সোহেল চৌধুরী হত্যা: কে এই আজিজ মোহাম্মদ ভাই *** সোনারগাঁও হোটেলে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে কেন চড় মেরেছিলেন সালমান *** যে প্রার্থীদের ভোট দিতে বললেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

ছেলের ছদ্মবেশে গান শেখা উম্মে কুলসুমে আজও মোহিত আরব বিশ্ব

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ৫০ বছর আগে। দিনটি ছিল ৩রা ফেব্রুয়ারি। দুনিয়া ছেড়ে গেলেও হারিয়ে যাননি সংগীতপ্রেমীদের হৃদয় থেকে। আরব বিশ্বের মানুষের মুখে মুখে এখনো তার গান। মিসরের ব্যস্ত সড়কে, ইরাকের পুরোনো ক্যাফেতে এবং মরক্কো থেকে ওমান পর্যন্ত লাখো মানুষের ঘরে ভেসে বেড়ায় তার কণ্ঠ। এখনো তার সুরের মুর্ছনায় মোহিত সংগীতপ্রেমীরা। প্রতিটি গানে ও প্রতিটি সুরে তিনি জীবন্ত তাদের হৃদয়ে।

যার কণ্ঠ এখনো আরব বিশ্বের মানুষের মনকে উদ্বেলিত করে, তিনি কিংবদন্তি শিল্পী উম্মে কুলসুম। এই গুণী শিল্পীর নামে প্রতিষ্ঠিত কায়রোর এক ক্যাফের ব্যবস্থাপক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বললেন, ‘যত দিন মানুষ গান শুনবে, তত দিন উম্মে কুলসুম বেঁচে থাকবেন। এখনো তিনি প্রতিটি গানে ও প্রতিটি সুরে বেঁচে আছেন।’ এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

মিসরের কায়রোতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উম্মে কুলসুমের দাফন হয়েছিল। ১৮৯৮ সালে নীল নদের তীরে ছোট্ট একটি গ্রামে সাধারণ একটি পরিবারে উম্মে কুলসুমের জন্ম হয়। সেখান থেকে তিনি আরব বিশ্বের কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। তার বাবা ছিলেন একজন ইমাম। অল্প বয়সেই মেয়ের মধ্যে প্রতিভা খুঁজে পেয়েছিলেন বাবা। মিসরীয় সমাজের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ভয়ে তিনি মেয়ে উম্মে কুলসুমকে ছেলের ছদ্মবেশে প্রকাশ্যে গান গাইতে পাঠান।

তবে তখন সময়টা ছিল বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক। সেসময় মিসরীয় সমাজের ভয়ে তিনি মেয়েকে ছেলে সাজিয়ে অনুষ্ঠানে গান গাওয়াতেন। তার সুমিষ্ট কণ্ঠ, জাদুকরী সুর ও আকর্ষণীয় পরিবেশনা দ্রুতই শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়। ১৯৩০–এর দশকে তিনি কায়রোতে পাড়ি জমান।

উম্মে কুলসুমের গান আরবি সংগীতের জগতে এক বৈপ্লবিক ঘটনা বলা চলে। তিনি ধ্রুপদি কবিতার সঙ্গে অর্কেস্ট্রার সংমিশ্রণ ঘটান। গান গাওয়ার সময় তার স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশনাই তাকে কিংবদন্তিতে পরিণত করে।

কুলসুম দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে গানের পঙ্‌ক্তিগুলো দীর্ঘায়িত করতেন ও পুনরাবৃত্তি করতেন, তার মধ্যে ছিল এক অপূর্ব সম্মোহনী ক্ষমতা।

শুধু যে আরব বিশ্বই কুলসুমের গানে মুগ্ধ হয়েছে, এমনটা নয়। পশ্চিমা সংগীতশিল্পীরাও তার মায়াবী সুরে মোহিত হয়েছেন, এখনো হচ্ছেন। মারিয়া কালাস, রবার্ট প্ল্যান্ট ও বব ডিলান—সবাই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

এই বছর উম্মে কুলসুমের বায়োপিক চলচ্চিত্র আকারে বড় পর্দায় আসতে চলেছে, যেখানে তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিসরের তারকা মোনা জাকি।

এই চলচ্চিত্রে উম্মে কুলসুমকে শুধু একজন সংগীতশিল্পী হিসেবেই নয়, বরং একজন নারীবাদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা যাবে, যিনি সমাজের প্রচলিত নিয়ম-নীতিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।

হা.শা./কেবি




সঙ্গীতশিল্পী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250