সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আন্তর্জাতিক ‘হস্তক্ষেপ’ চায় পাকিস্তান *** এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল *** ইউনূসকে লেখা চিঠিতে যা বলেছেন টিউলিপ *** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের

ছোট ছোট টবেই হচ্ছে বরবটি চাষ!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৩ অপরাহ্ন, ১৩ই অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের প্রিয় ও অতিপরিচিত একটি সবজি বরবটি। সেই বরবটিই কিনা এখন চাষ হচ্ছে টবে। যা পরিবারের সবজির চাহিদা মেটাতে সক্ষম। সাধারণত বড় মাচা দিয়ে জমি নির্ধারণ ও অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়ে চাষ করতে হয়।  নেই মাচা তৈরি বা পরিচর্যার ঝামেলা। 

বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, এই বরবটি চাষ হবে বাসার ছাদে, ছোট্ট টবে। বড় মাচার বদলে দরকার হবে একটি ছোট্ট কাঠি। ফল পাওয়া যাবে টানা ছয় মাস। নেই বাড়তি খরচ বা পরিচর্যার ঝামেলা। এর নাম ‘বি ইউ ছাদ বরবটি–১’।

‘কোনো প্রকার মাচা তৈরির ঝামেলা না থাকায় বা ছোট্ট একটি টবে চাষ হওয়ায় এটি ছাদকৃষির জন্য খুবই উপযোগী। এটা যেকোনো বাসার ছাদে চাষ করে পরিবারে সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব।’

উন্নত জাতের বরবটির বৈশিষ্ট্য

নতুন এ জাতের বরবটি দেখতে ফ্যাকাশে–সবুজ। গাছের দৈর্ঘ্য গড়ে ১৮-২০ ইঞ্চি। একেকটি গাছে বরবটি ধরে গড়ে ১৮ থেকে ২০টি। গবেষকদের মতে, দেশে প্রচলিত বরবটিগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম ছাদ বরবটি। একটি গাছ থেকেই ফলন পাওয়া যায় টানা ছয় মাস। এর মধ্যে প্রতিটি বরবটির আকার-আকৃতি, রং বা গুণ–মান অন্য যেকোনো বরবটির মতোই। বরং টবে চাষ হওয়ায় পরিবেশবান্ধব ও পোকামাকড়ের ঝামেলামুক্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে বরবটির আরও কিছু জাত রয়েছে। এর মধ্যে কেগরনাটকিই, লাল বেনী, তকি, ১০৭০, বনলতা, ঘৃতসুন্দরী, গ্রিন লং, গ্রিন ফলস এফ-১, সামুরাই এফ-১ উল্লেখযোগ্য। সবগুলো জাতই চাষ হয় ফসলি জমি বা খেতখামারে। এর মধ্যে শুধু ছাদকৃষির জন্য উদ্ভাবন করা হয়েছে ‘বি ইউ ছাদ বরবটি-১’। এর বাইরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বারি বরবটি–১ ও বারি বরবটি-২ নামের আরও দুটি জাত রয়েছে।

সাধারণত অনেকেই শখের বসে বাসার ছাদে সবজি চাষ করতে চান। কিন্তু জায়গার সংকীর্ণতা, মাচা তৈরি বা অন্যান্য ঝামেলার কথা চিন্তা করে তা আর পেরে ওঠেন না। আমরা সেই দিকটা মাথায় রেখেই গবেষণা শুরু করি। এটা কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই টবে চাষ করা যাবে। প্রতিটি বরবটি স্বাদে, গুণে–মানে অন্য সব বরবরটির মতোই। বরং এটা একবার লাগানোর পর টানা ছয় মাস ফলন হবে, যা অন্য কোনো জাতের বরবটিতে সম্ভব নয়।’

আরও পড়ুন: হলুদ চাষে ঝুঁকছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা

চাষের পদ্ধতি

দরকার সর্বনিম্ন ১০ ইঞ্চি আকারের একটি টব। টবে যেকোনো ধরনের মাটি হলেই চলবে। তবে এটেল–দোআঁশ বা বেলে–দোআঁশ মাটি হলে ভালো। প্রতিটি টবে একটি বীজ বপণ করতে হবে। বপণের চার থেকে পাঁচ দিনের মাথায় চারা গজাবে। গাছটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠলে খুঁটি হিসেবে দিতে হবে একটি বাঁশের কাঠি। পরিচর্যার অংশ হিসেবে শুরুতে আধা মুঠো ইউরিয়া, টিএসটি বা পটাশ সার দিলেই চলবে। গাছে ফলন ধরবে ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে। একেকটি বরবটির দৈর্ঘ্য হবে গড়ে ১২ ইঞ্চি। গাছটি রাখতে হবে রোদে।দিন দিন কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। তাই যে কেউ চাইলে গাছটি ছাদে চাষ করতে পারবেন।

এসি/ আই.কে.জে/

বরবটি চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন