আজ পহেলা ফাল্গুন। বাংলা বর্ষপঞ্জির একাদশতম মাস ও ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। প্রকৃতি আজ খুলে দেবে তার সৌন্দর্যের দুয়ার। সে দুয়ারে বইবে ফাগুনের হাওয়া। বসন্তের আগমনে কোকিল গাইবে গান, ভ্রমর করবে খেলা। গাছে গাছে থাকবে পলাশ আর শিমুলের মেলা। প্রকৃতি সাজবে নতুনরূপে। জেগে উঠবে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, পলাশ, নাগলিঙ্গম।
লাল-হলুদের বাসন্তী রঙে প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের সাজিয়ে বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় আজ ভাসবে বাঙালি। গাছে গাছে বাহারি ফুল আর কোকিলের কণ্ঠে গান শুনে বাঙালিও কণ্ঠে তুলে নেবে রবীন্দ্রনাথের সেই পরিচিত গান ‘আহা আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়।’
বসন্ত ষড়ঋতুর শেষ ঋতু। ফাল্গুন এবং চৈত্র মাস মিলে হয় বসন্ত। এই ঋতুর আগমন ঘটে শীত চলে যাবার পর এবং গ্রীষ্ম আসার আগে। বসন্তের প্রথম দিনে তরুণ-তরুণীরা নিজেকে রাঙিয়ে তোলে বাসন্তী রঙে। তাদের গায়ের বাসন্তী রঙে ছেয়ে যায় রাজপথ, পার্ক, বইমেলা, সবুজ চত্বর। পুরো দেশেই চলে উৎসবের আমেজ। গায়ে হলুদ আর বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি-শাড়ি জড়িয়ে তরুণ-তরুণীরা এদিন নিজেদের রঙিন সাজে সাজান। বসন্ত তাই তারুণ্যের ঋতু।
পহেলা ফাল্গুনকে উপলক্ষ করে রাজধানীসহ সারা দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর চারুকলার বকুলতলা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, রমনা পার্ক, বনানী লেক, ধানমন্ডি লেক, রবীন্দ্র সরোবর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ দেশের অনেক জায়গায় দিনভর চলে বসন্তের উৎসব। তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে মোবাইল ফোন, ফেসবুক, টুইটারে চলে বসন্তের শুভেচ্ছা বিনিময়।
বর্ণিল বসন্ত মানুষের মাঝে আনুক ভালোবাসা, অহিংসা আর অসাম্প্রদায়িকতা। ভেঙে দিক বিভেদের সকল দেয়াল। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, আজ বসন্ত’।
আই.কে.জে/