বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে ব্রিটেনও *** একাত্তর নিয়ে বক্তব্য, সমালোচনার মুখে আসিফ নজরুলের দুঃখ প্রকাশ *** জুলাই সনদের খসড়ার সঙ্গে ‘মোটামুটি’ একমত বিএনপি *** বিনা অনুমতিতে নূরুল কবীরকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে, প্রত্যাহারের অনুরোধ *** জনসংখ্যা বাড়াতে প্রত্যেক শিশুকে বছরে ৬২ হাজার টাকা করে দেবে চীন *** প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হলেন মাহফুজ আনাম, নূরুল কবীরসহ ১২ জন *** ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীকে নেদারল্যান্ডসে ঢুকতে দেবে না দেশটির সরকার *** ডাকসু নির্বাচন ৯ই সেপ্টেম্বর *** আর কাউকে প্রতীকী মূল্যে জমি দেবে না সরকার: অর্থ উপদেষ্টা *** প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার শুন্য পদ পূরণে উদ্যোগ

দুর্যোগ মোকাবিলায় ২৭ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০২:২৭ অপরাহ্ন, ১৫ই মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের আগস্টে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পূর্বাঞ্চলের পুনরুদ্ধার কার্যক্রম জোরদার ও ভবিষ্যৎ দুর্যোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়াতে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ই মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৭ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার, কৃষি খাতে সক্ষমতা বাড়ানো ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে এই সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি, ইমার্জেন্সি প্রিপারেডনেস অ্যান্ড রেসপন্স’ (বাংলাদেশের টেকসই পুনরুদ্ধার, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবিলা) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে গ্রামীণ ও বন্যা প্রতিরোধ অবকাঠামো নির্মাণ ও পুনর্গঠন করা হবে।

এতে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ সুরক্ষা পাবেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল কৃষির প্রসার ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা সহায়তা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এদেশীয় প্রধান গেইল মার্টিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও দুর্যোগ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে পরিচিত। ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকি ও ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনগণ ও অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলছে। এ প্রকল্প দেশের দুর্যোগ প্রস্তুতিব্যবস্থা শক্তিশালী করবে এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে বন্যাকবলিত মানুষের জীবিকা ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ৭৯টি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও সংস্কার এবং সড়ক ও সেতু জলবায়ু সহনশীল করে পুনর্গঠন করা হবে। স্বাভাবিক সময়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

পাশাপাশি বাঁধ, খাল পুনঃখননসহ বন্যা প্রতিরোধ অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও পূর্বাভাসব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া হবে। নৌকা, সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ ও মহড়ার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের দুর্যোগ প্রস্তুতির সক্ষমতা গড়ে তোলা হবে।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ দুর্যোগ ঝুঁকিব্যবস্থাপনা–বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্প দলের প্রধান স্বর্ণা কাজী বলেন, এ প্রকল্প শুধু পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগ সহনশীলতা গঠনের লক্ষ্যেও নেওয়া হয়েছে। ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমন্বিত ও টেকসই পন্থা নিশ্চিত করবে এই প্রকল্প। লক্ষ্য, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা।

প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের আর্থিক সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও অস্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।  প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ এসব অর্থনৈতিক কর্মসূচি ও নগদভিত্তিক সহায়তার সুফল পাবেন।

এইচ.এস/

বিশ্বব্যাংক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন