শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দুশ্চিন্তা কমে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি *** মালিক-ডি ভিলিয়ার্সদের ফাইনাল আজ, খেলা দেখবেন কোথায় *** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার

মাছ বিক্রি করে এই হাটে বছরে শত কোটি টাকা আয়

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, ২৭শে অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগর, মরিচা ও রামকৃষ্ণপুর তিনটি ইউনিয়ন একেবারে খরস্রোতা পদ্মার তীর ঘেঁষা। এখানকার অন্তত ৯০০ জেলের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম মাছ শিকার। এছাড়া বাড়তি আয়ের আশায় নদীপাড়ের লোকজন কমবেশি মাছ ধরেন। প্রতিদিন এসব মাছ তারা বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন পদ্মা তীরবর্তী অপরিকল্পিত ঘাটসহ এলাকার আশপাশের বাজারগুলোতে। আর নদীর এসব টাটকা মাছের বেচাকেনা চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ঘাটগুলো থেকে প্রতিদিন মাছ বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার। এই হিসাবে বছরে মাছ বিক্রি হয় শতকোটি টাকার বেশি।

এসব হাটে সবচেয়ে বেশি দেখা মেলে চিংড়ি, পিউলি, চ্যালা, ঘাউরা, বাঁশপাতা, বাইম, বেলে, ট্যাংরাসহ নানা পদের মাছ। এগুলো আকারভেদে ১৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা তীরবর্তী হওয়া সত্ত্বেও বৃহত্তর এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো মৎস্য বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। যার কারণে জেলেরা মাছের সঠিক দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একইভাবে দ্রুত মাছ বিক্রিতেও পড়ছেন বিড়ম্বনায়। তাই এলাকার জেলেরা দাবি তুলেছেন, দ্রুত এখানে সরকারি উদ্যোগে একটি মৎস্য বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার। আর এটা সম্ভব হলে শুধু জেলে পরিবারের সমৃদ্ধিই বয়ে আনবে না, স্থানীয় মৎস্য খাতের অর্থনীতির স্ফীতি ঘটবে।

স্থানীয় জেলে সিদ্দিক ও জামাল জানান, প্রতিদিন পদ্মা নদী থেকে তারা যে পরিমাণ মাছ শিকার করেন, তা বিক্রির জন্য তীরবর্তী ঘাট ও স্থানীয় বাজারের হাটগুলোতেই নিয়ে আসেন। কিছু পরিমাণ পাঠানো হয় কুষ্টিয়া শহরের আড়তে। এতে প্রতিদিন যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে তাদের সংসার।

আরও পড়ুন: সড়কের দু’পাশে পতিত জমিতে ঘাস চাষ করে লাভবান খামারিরা

আরেক জেলে নাজমুল ও মিন্টু বলেন, আকার ও মাছের ধরনের ওপর নির্ভর করে মাছের দাম নির্ধারণ হয়।

তুষার রহমান বলেন, সকালে ঘাটে এসেছি নদীর টাটকা মাছ কিনতে। যদিও এখানে দাম বেশি। তবে একদম ফ্রেশ। এসব মাছের স্বাদও বেশি।

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ বলেন, প্রতি মৌসুমের মে মাসের শেষ সময় থেকে ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত নদীতে মাছ বেশি পাওয়া যায়। প্রতিদিন কী পরিমাণ মাছ শিকার বা বিক্রি হয়, এর সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও গড়ে অন্তত দেড় হাজার কেজি মাছ বিক্রি হয়। যার থেকে বছরে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় হওয়ার কথা।

এসি/ আই.কে.জে/




মাছ বিক্রি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন