রবিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের হামলা-ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১১:১২ অপরাহ্ন, ২৮শে মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’ আহতদের একাংশের হামলার ঘটনায় আজ বুধবার (২৮শে মে) সকাল থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়। ৫ ঘণ্টার বেশি সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া সব বিভাগে চিকিৎসা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

নিরাপত্তাহীনতায় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের বড় একটি অংশ হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, তাদের কাউকে কাউকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়

বুধবার বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আহতদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হলেও কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে লাঠিপেটাও করে। সন্ধ্যার দিকে আহতদের একটি অংশ হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেয়। তারা বাইরে সড়ক অবরোধ করে রাখে।

হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনে চোখ হারানো চার ব্যক্তি—শিমুল, সাগর, মারুফ ও আবু তাহের পরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে চিকিৎসায় অবহেলা ও বিদেশে চিকিৎসা না করানোর অভিযোগ তোলেন তারা।

হঠাৎ পকেট থেকে বিষের শিশি নিয়ে পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে তাদের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এর জেরে বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কর্মীরা অভিযোগ করেন, আগের দিন আন্দোলনকারীরা পরিচালকের গায়ে হাত তোলেন, অফিসকক্ষ ভাঙচুর করেন এবং কর্মীদের হুমকি দেন।

এসব ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতিতে যান। কর্মবিরতির মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে মারামারিও হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে সাধারণ রোগীও রয়েছেন।

এইচ.এস/

জুলাই গণঅভ্যুত্থান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন